লন্ডন, 21 জুলাই: মাঙ্কিপক্স (Monkeypox)-কে 'আন্তর্জাতিক সংকট' (Global Emergency) হিসাবে ঘোষণা করা হবে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার ফের একবার জরুরি বৈঠকে বসল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) বা হু (WHO)-এর আপদকালীন কমিটি ৷ এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দু'বার একই ইস্যুতে আলোচনায় বসলেন কমিটির সদস্যরা ৷ যদিও বিজ্ঞানীদের একাংশ এখনই এই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ ৷ তাঁদের যুক্তি, আফ্রিকায় যে হারে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে উন্নত দেশগুলির পরিস্থিতির বিরাট ফারাক রয়েছে ৷ আর এই ঘটনাই গোটা বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছে ৷
আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই তাদের মহাদেশে এই মহামারীকে 'সংকট' হিসাবে গণ্য করতে শুরু করে দিয়েছে ৷ কিন্তু, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা-সহ বিশ্বের অন্য়ান্য প্রান্তে মাঙ্কিপক্সের যে প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, তা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই মৃদু ৷ তাই এখনই সেখানে মাঙ্কিপক্সকে সংকট হিসাবে ঘোষণা করতে চাইছে না প্রশাসন ৷ বদলে, আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, তা দেখেই পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হয়েছে ৷
গত কয়েক দশক ধরে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ রয়েছে ৷ মূলত বন্য প্রাণীরাই এই রোগে আক্রান্ত হত ৷ মাঝেমধ্যে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় দু-একজন এই রোগের কবলে পড়লেও খুব একটা বাড়াবাড়ি হত না ৷ কিন্তু, গত মে মাস থেকে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে ৷ বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ধনী ও দরিদ্র দেশগুলির মধ্য়ে মাঙ্কিপক্সের প্রকোপ ভিন্ন হবে ৷ দরিদ্র দেশগুলি এর জেরে যতটা দুর্ভোগ পোহাবে, ধনী দেশগুলিতে তেমনটা ঘটবে না ৷ বিশেষ করে যেসব দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামো ভালো, সেখানে এই রোগ সেভাবে থাবা বসাতে পারবে না ৷
এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা 15 হাজারের কিছু বেশি ৷ রোগ প্রতিরোধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা-সহ উন্নত দেশগুলিতে ইতিমধ্য়েই টিকা এসে গিয়েছে ৷ কিন্তু, আফ্রিকার কপালে তেমন কিছু জোটেনি ৷ অথচ সেখানে এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে 70 জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে ৷