ঢাকা, 23 অক্টোবর: বাংলাদেশে 2টি ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে 20 জনের মৃত্যু ৷ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ সোমবার রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় 60 কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কিশোরগঞ্জ জেলায় একটি মালগাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে ৷ এমনটাই প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন । ভৈরব রেলওয়ে থানার ডিউটি অফিসার সিরাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে 3টের দিকে ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ এই সময় চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল মালগাড়িটি ৷ অন্যদিকে ঢাকার দিকে আসছিল এগারো সিন্দুর গোধূলী এক্সপ্রেস ৷ সেসময় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয় ৷ যার জেরে এই দুর্ঘটনা ।
বাংলাদেশ দমকল বিভাগ ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া প্রধান শাহজাহান সিকদার বলেন, "এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে 20টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে । মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে ।" তিনি জানান, দমকল বিভাগের এক ডজনের বেশি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে । বেশ কিছুজন ট্রেনের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর ৷ ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কোচের নীচে বেশ কয়েকজন লোক আটকা পড়ে রয়েছেন । ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর নিউজ পোর্টালকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, "প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে মালগাড়িটি পেছন থেকে এগারো সিন্দুর এক্সপ্রেসে ধাক্কা দেয় এবং এর জেরে যাত্রীবাহী ট্রেনের বগিগুলি উলটে যায় ।"
আরও পড়ুন: বিহার রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল 5, লাইনচ্যুত ট্রেনের 21টি বগি
এলিট অ্যান্টি ক্রাইম র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের একজন আধিকারিক সাংবাদিকদের বলেন, "এখনও পর্যন্ত 20টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে । আমরা উদ্ধার অভিযানে আমাদের সম্ভাব্য সবধরনের সহযোগিতা করছি ।" ঘটনাস্থলে দমকল বিভাগের আধিকারিকরা জানান, ঘটনায় তিনটি যাত্রীবাহী বগি উলটে গিয়েছে এবং আশংকা করা হচ্ছে অনেক লোক জরাজীর্ণ ওয়াগনের নীচে আটকা পড়েছে ৷ যদিও প্রায় 100 জন যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । ওই আধিকারিক বলেন, "উদ্ধার প্রক্রিয়া চলাকালীন আমরা আরও দেহ এবং আহত যাত্রীদের খুঁজে পাওয়ার আশা করছি ।" ক্রেন-সহ একটি উদ্ধারকারী ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে খবর । (সংবাদ সংস্থা- পিটিআই)