ইসলামাবাদ, 11 মে: গ্রেফতার হওয়ার দু'দিনের মাথায় বড়য়ড় স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত মঙ্গলবারই তাঁকে তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল পাক রেঞ্জার্স। বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ইমরানের গ্রেফতারি বেআইনি। তাঁকে মুক্তির নির্দেশ দিল সেদেশের শীর্ষ আদালত ৷
পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেফতারকে সুপ্রিম কোর্ট এদিন 'অবৈধ' বলে জানিয়ে দিয়েছে ৷ পাশাপাশি তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের শীর্ষ আদালত। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে ইমরানকে আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
বুধবারই পাকিস্তানের দুর্নীতি-দমন আদালত আট দিনের জন্য হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ইমরান খানকে। যদিও তার একদিন পরই স্বস্তি পেলেন ইমরান। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইমরান লাহোর থেকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে পৌঁছনোর পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরিচয় দেওয়ার সময়ই আচমকা সেখানে প্রবেশ করে পাক রেঞ্জার্স। দ্রুত তাঁকে ঘিরে ফেলে গ্রেফতার করে তারা। সেখানে উপস্থিত ইমরানের আইনজীবী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের মারধর করা হয় বলেও দাবি। পিটিআইয়ের দাবি, এদিন দুপুরে এক ঘণ্টার মধ্যে ইমরান খানকে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেই মোতাবেক তাঁকে হাজির করানো হলে শীর্ষ আদালত তাঁকে মুক্তি দেয় ৷
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল, বিচারপতি মোহাম্মদ আলি মাজহার এবং বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহর-তিন সদস্যের বেঞ্চে এদিন ইমরান খানের মামলার শুনানি হয় ৷ এদিন শুনানিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে ইমরানকে যেভাবে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল তাতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে, এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)-কে নির্দেশ দেয় দ্রুত ইমরানকে আদালত হাজির করাতে হবে। নির্দেশ মোতাবেক কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এদিন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে আসা হয় ইমরানকে।
এদিন ইমরান খানকে প্রধান বিচারপতি বলেন, "আপনাকে দেখে ভালো লাগছে।" এরপরই প্রধান বিচারপতি বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি ইমরান খানের গ্রেফতার বেআইনি। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। হাইকোর্ট যা সিদ্ধান্ত দেবে আপনাকে (ইমরান খান) মেনে নিতে হবে ৷” পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা প্রত্যেক রাজনীতিকের দায়িত্ব।