ব্যাংকক, 12 এপ্রিল: চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মানুষের দেহ ৷ পুড়ে গিয়েছে বাড়ি ৷ আকাশপথে হামলা চালানো হয়েছে সাগাইং এলাকা ৷ এই আক্রমণের দায় স্বীকার করে নিয়েছে মায়ানমারের মিলিটারি জুন্টা সরকার ৷ এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী কমপক্ষে 100 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু আছে ৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সামরিক জুন্টা শাসকের বিরোধীরা একটি অনুষ্ঠান করছিল ৷ সেখানে আকাশপথে গুলি চালায় জুন্টা বাহিনী ৷ তিনি আঞ্চলিক একটি গণতান্ত্রিক দল এবং নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমের সদস্য ৷
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে জুন্টার মুখপাত্র জাও মিন টুন নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, "সকাল 8টা নাগাদ পাজি গাই গ্রামে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের একটি অনুষ্ঠান ছিল ৷ সেখানেই হামলা চালানো হয়।" তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে অনেকে শাসক-বিরোধী ইউনিফর্ম পরা ছিলেন ৷ তিনি এও জানিয়েছেন, অনেকেই স্থানীয় বাসিন্দা ৷ মান্ডালায়ার দ্বিতীয়-বৃহত্তম শহর সাগাইং ৷ তবে মুখপাত্র বলেন, "ঘটনাস্থল থেকে আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি, সেই অনুযায়ী মানুষ শুধুমাত্র আমাদের আক্রমণে মারা গিয়েছে তা নয় ৷ ওই জায়গায় অনেকগুলি মাইন পুঁতে রেখেছিল পিডিএফ ৷ সেগুলি বিস্ফোরণ হয়ে এই দুর্ঘটনা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: মিজোরামের গ্রামে মায়ানমারের বিমানহানা ! আতঙ্কিত বাসিন্দারা
2021 সালের ফেব্রুয়ারিতে মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয় ৷ নির্বাচিত আং সান সু কি-র সরকারের থেকে ক্ষমতা কেড়ে মসনদে বসে সামরিক জুন্টা বাহিনী ৷ সেই সময় থেকে তিন হাজারেরও বেশি নাগরিক এই বাহিনীর আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ হামলার সময় ঘটনাস্থলে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী একটি সংবাদসংস্থায় জানান, একটি ফাইটার জেট আসে সাগাইংয়ের অনুষ্ঠানের জায়গায় ৷ সেই সময় সেখানে মানুষের ভিড় ছিল ৷ তারই মধ্যে বিমানটি থেকে সরাসরি অনুষ্ঠানস্থলে বোমা বর্ষণ শুরু হয় ৷ প্রসঙ্গত, এই জায়গায় সামরিক জুন্টা শাসকের বিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স তাদের আঞ্চলিক কার্যালয় খুলছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৷ আর তার আগেই হামলা চালিয়ে কমপক্ষে একশো মানুষের প্রাণ নিল সামরিক শাসক ।