নিউইয়র্ক, 2 এপ্রিল: টর্নেডোয় লণ্ডভণ্ড আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্য ৷ শুক্রবার রাতে মার্কিন মুলুকের দক্ষিণ-মধ্যাংশের বিভিন্ন প্রদেশে তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো। সংখ্যাটা নিশ্চিত করে বলা না-গেলেও দশের বেশি টর্নেডো গত দু'দিনে আছড়ে পড়েছে সেদেশে ৷ যার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে 26 জনের ৷ আরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। আরকানসাস, আলবামা, ইন্ডিয়ানার মতো অন্তত সাতটি প্রদেশ টর্নেডোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিবিসি'র তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
মার্কিন মুলুকের হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার এবং শনিবার প্রায় ডজন খানেক টর্নেডো সর্বশক্তি নিয়ে ধেয়ে এসেছে নানা শহরে। আরকানসাস, আলবামা, ইন্ডিয়ানার মতো অন্তত সাতটি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভয়াবহ টর্নেডোর জেরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মিসৌরি ও আরকানসাস রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য দু'টিতে টর্নেডোর কারণে হাজারেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। টর্নেডোর তাণ্ডবে আরকানসাস রাজ্যের অন্তত 30 জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছিলেন। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। ফলে পরিষেবা কখন স্বাভাবিক করা যাবে, তা অনিশ্চিত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টর্নেডোর এতটাই দাপট ছিল যে মুহুর্মুহু বাড়ি, আবাসন এবং বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে ৷ হেলিকপ্টার থেকে তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে তছনছ হয়ে গিয়েছে একের পর এক শহর। টেনেসি-সহ আরও দুইটি রাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে টর্নেডো কবলিত অঞ্চলগুলো। মিসিসিপিতে ভয়াবহ টর্নেডো আঘাত হানার এক সপ্তাহ পর এক রাতে অন্তত 40টি টর্নেডো আঘাত হানল যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যেগুলিতে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী ভূমিকম্পে পাকিস্তানে মৃত 11 , আহত বহু
গত সপ্তাহে মিসিসিপির টর্নেডোতে অন্তত 26 জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার মিসিসিপির টর্নেডো কবলিত অঞ্চল পরিদর্শনে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দাবি করেছে বিবিসি ৷ এক সপ্তাহ কাটতে না-কাটতেই ফের বিধ্বংসী রূপে টর্নেডো তছনছ করল আমেরিকার বিভিন্ন শহরকে। সেদেশের হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, টর্নেডোর সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় 170 থেকে 180 কিলোমিটার।