ওয়াশিংটন, 11 মার্চ: মার্কিন প্রশাসনে বড় দায়িত্ব পেলেন দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিক ৷ এরা হলেন ফ্লেক্সের সিইও রেবতী অদ্বৈতী এবং ন্যাচরাল রিসোর্সেস অফ ডিফেন্স কাউন্সিলের সিইও মণীশ বাপনা ৷ দু'জনকেই মার্কিন বাণিজ্য নীতি ও বোঝাপড়া বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে (Two Indian Americans appointed in US Advisory Committee for Trade Policy and Negotiations) ৷ শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) এই দু'জনকে সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ করেছেন ৷
শুক্রবারই জো বাইডেন জানান, বাণিজ্য নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটিতে মোট 14 জনকে নিয়োগ করছেন তিনি ৷ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিসরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে, সেই বিষয়ে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা কমিটি সহযোগিতা করবে ৷ বাণিজ্যিক উন্নয়ন, বিভিন্ন নীতি রূপায়ন এবং মার্কিন বাণিজ্যিক নীতির প্রশাসনিক বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করবে এই কমিটি ৷
হোয়াইট হাউজের তরফ থেকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে, বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন চুক্তি, সেইসব বাণিজ্য চুক্তির রূপায়ণ, কোথাও কোনও বাণিজ্যিক কর্মসূচি শুরু হলে কীভাবে পরপর পদক্ষেপ করে যেতে হবে, কী ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে ইত্যাদি সমস্ত বিষয়েই মতামত ও পরামর্শ দেবে এই উপদেষ্টা কমিটি ৷ এমন একটি কমিটির সদস্য হতে পারা যেকোনও মার্কিন নাগরিকের কাছেই সম্মানের বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল ৷
উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য রেবতী বর্তমানে ফ্লেক্সের সদস্য ৷ এর আগে তিনি ইটোন নামে একটি সংস্থার বৈদ্যুতিন বাণিজ্যিক শাখার চিফ অপারেটিং অফিসার ছিলেন ৷ ইটোন নামে এই সংস্থাটি 20 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে ৷ সংস্থায় কর্মী রয়েছেন 1 লক্ষেরও বেশি ৷
আরও পড়ুন: ইউটিউবের নয়া সিইও ভারতীয় বংশোদ্ভূত নীল মোহন, জানুন তাঁর পরিচয়-বেতন
অন্যদিকে, মণীশ বাপনা ন্যাচরাল রিসোর্সেস অফ ডিফেন্স কাউন্সিলের সিইও এবং প্রেসিডেন্ট ৷ তথ্য বলছে, বিগত প্রায় 50 বছর ধরে আমেরিকায় যে সমস্ত পরিবেশনির্ভর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে, তাতে ন্যাচরাল রিসোর্সেস অফ ডিফেন্স কাউন্সিলের অবদান রয়েছে ৷ 25 বছরের পেশাদার জীবনে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মণীশ ৷ যেকোনও কাজে তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বরাবরই কর্তৃপক্ষের নজর কেড়েছে ৷ হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সবদিক খতিয়ে দেখেই রেবতী ও মণীশকে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা কমিটিতে নিয়োগ করা হয়েছে ৷