ওয়াশিংটন, 9 নভেম্বর: প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হলেন ইন্দো-আমেরিকান অরুণা মিলার ৷ মঙ্গলবার ইতিহাস গড়েছেন তিনি ৷ আমেরিকার রাজধানীর সংলগ্ন মেরিল্যান্ডের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হলেন অরুণা ৷ তিনিই প্রথম ইন্দো-আমেরিকান রাজনৈতিক নেতা ৷ 58 বছর বয়সী মিলার মেরিল্যান্ড হাউজের প্রাক্তন প্রতিনিধি ছিলেন (first Indian American to win Maryland Lieutenant Governor race) ৷
যে কোনও স্টেটে গভর্নর-পরবর্তী সর্বোচ্চ পদ লেফটেন্যান্ট গভর্নর ৷ গভর্নর স্টেটের বাইরে থাকলে বা কোনও ভাবে কর্মক্ষম না হলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাঁর ভূমিকা পালন করেন ৷ কর্তব্যরত অবস্থায় গভর্নর মারা গেলে, পদত্যাগ করলে অথবা তাঁকে তাঁর অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে নিয়ম অনুযায়ী লেফটেন্যান্ট গভর্নর গভর্নর হন ৷ মঙ্গলবার বিকেলে ভোট সম্পূর্ণ হয় ৷ অরুণা মিলারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ওয়েস মুর (Wes Moore) ৷ রিপাবলিকানদের নির্বাচিত লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন তিনি ৷ আবারও তিনি প্রার্থী হন কিন্তু এই এবার তাঁকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান অরুণা ৷ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মুর ও মিলারের হয়ে প্রচার করেছিলেন ৷
আরও পড়ুন: এশিয়ার 20 জন মহিলা ব্যবসায়ীর মধ্যে তিনজন ভারতীয়, তালিকা প্রকাশ ফোর্বসের
মেরিল্যান্ডে ইন্দো-আমেরিকানদের মধ্যে মিলারের জনপ্রিয়তা দু'রকম ৷ ট্রাম্পের কয়েকজন শীর্ষ সমর্থক এবং রিপাবলিকানদের সমর্থকেরাও তাঁকে সমর্থন করেন এবং তাঁর জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন ৷ তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জসদীপ সিং জাস্সি (Jasdip Singh Jassee) ৷
মেরিল্যান্ডবাসীর উদ্দেশ্যে জয়ী মিলার বলেন, "আজ রাতে আপনারা দেখিয়ে দিয়েছেন, ব্যালটের গণতন্ত্রের মাধ্যমে একটা ছোট্ট কিন্তু শক্তিশালী স্টেট কী করতে পারে ৷ আপনারা বিভাজনের উপরে ঐক্য, নিয়ন্ত্রিত অধিকার ছাপিয়ে অধিকার এবং ভয়ের ঊর্ধ্বে আশাকে বেছে নিয়েছেন ৷"
অরুণা মিলারের জন্ম ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ৷ পরে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে আমেরিকা পাড়ি দেন ৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "1972 সালে আমি এই দেশে এসেছি ৷ তখন থেকে কোনও দিন আমেরিকার প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় থেমে থাকিনি ৷ প্রতিশ্রুতি প্রত্যেকের জন্য- এটা নিশ্চিত করার লড়াই আমি কখনও বন্ধ করব না ৷ এই প্রতিশ্রুতি থেকে দায়বদ্ধতা নিয়ে মেরিল্যান্ডের আমার যাত্রা শুরু, যেখানে আমরা কাউকে পিছনে পড়ে থাকতে দেব না ৷"