জাকার্তা (ইন্দোনেশিয়া), 10 জানুয়ারি: তীব্র সমুদ্র ভূমিকম্পে মঙ্গলবার ভোরে ক্ষতিগ্রস্ত হল পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার বেশ কিছু বিল্ডিং ৷ এই কম্পন ব্যাপকভাবে অনুভূত হয় উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় (7.6 quake damages buildings in Indonesia felt in Australia) ৷ ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা ও জিওফিজিক্যাল এজেন্সি 7.6 মাত্রার এই ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারি করেছে ৷
এই ভূমিকম্পের বিষয়ে এজেন্সির প্রধান দ্বিকরিতা কর্ণবতী জানান, কম্পনের কেন্দ্রের চারপাশে চারটি জোয়ারের পরিমাপক পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে বলা যায় এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের কোনও উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি বা পরিবর্তন দেখায়নি ৷ পাপুয়া এবং পূর্ব নুসা টেঙ্গারা প্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে ৷ ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সি দক্ষিণ-পশ্চিম মালুকুতে ওয়াটুয়ে গ্রামের বাড়িঘর ও কমিউনিটি বিল্ডিংয়ের ক্ষতির ভিজ্যুয়াল রিপোর্ট পেয়েছে ৷
আরও পড়ুন : নতুন বছরের রাতে রাজধানীতে ভূমিকম্প
এই বিষয়ে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সার্ভে সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল অস্ট্রেলিয়ার উত্তর প্রান্ত থেকে 105 কিলোমিটার (65 মাইল) গভীরে (Earthquake in Australia) ৷ গভীরতম ভূমিকম্প অগভীর কম্পনের চেয়ে কম পৃষ্ঠের ক্ষতি করে তবে এটা বেশি ব্যাপকভাবে অনুভূত হয় ৷ ডারউইন শহর-সহ উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় হাজারটিরও বেশি মানুষ এই কম্পন অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছে জিওসায়েন্স অস্ট্রেলিয়া সংস্থা ৷ যৌথ অস্ট্রেলিয়ান সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কারণে সুনামির মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়নি ৷
অস্ট্রেলিয়ান গায়িকা ভ্যাসি টুইটারে জানান, এটি তাঁর জীবনে অনুভূত প্রথম দীর্ঘতম ভূমিকম্প ৷ তিনি এই বিষয়ে লেখেন, "আমরা মাঝরাতে বাড়ি থেকে দৌড়ে বের হয়েছিলাম ৷ আমি কখনও এমন কোনও ভূমিকম্প অনুভব করিনি যা এত দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী ছিল ৷ এটা ভীষণ ভীতিকর ছিল ৷"
ইন্দোনেশিয়া প্রায়শই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে এবং এটি প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে 'রিং অফ ফায়ার'-এর উপর অবস্থিত যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ ঘটে ৷
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র ও অরুণাচলে মৃদু ভূমিকম্প বুধবার সকালে