কিয়েভ (ইউক্রেন), 17 ফেব্রুয়ারি : ইউক্রেন সীমান্তে ক্রমশ সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করছে রাশিয়া (Russian Invades Ukraine) ৷ ক্রেমলিনের তরফে ইউক্রেন সীমান্তে আরও সাত হাজার রুশ সেনা পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ কিন্তু ওই সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছিল রাশিয়া ৷ তার পরও কেন এমন হল, উঠছে প্রশ্ন ৷ যদিও এই পরিস্থিতিতেও বুধবার ঐক্যের প্রদর্শন করেছে ইউক্রেন ৷ রাশিয়ার চাপের কাছে মাথা না নোয়ানোর বার্তা দিয়েছে কিয়েভ ৷
তার পরও আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীরা মনে করছে ইউরোপের আর্থিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে (NATO allies worried about increasing troops in Ukraine border) ৷ যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সংকট থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই ইস্যুতে সবরকম চেষ্টা করে যাবেন বলে জানিয়েছেন ৷ তার পরও তিনি মস্কোর মনোভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৷ কারণ, ইউক্রেনের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্তে এখনও দেড় লক্ষ রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে (Russian troops threaten Ukraine) ৷ তাই বাইডেন ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষার পক্ষে থাকার আবেদন জানিয়েছেন ৷
কিন্তু রাশিয়ার তরফে যখন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, তার পরও কেন এত আশঙ্কা ? মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইজ জানিয়েছেন, রাশিয়া বরাবরই এমন করে ৷ তার সামনে এক কথা বলে ৷ করে ঠিক তার উল্টো ৷ সেই কারণেই রাশিয়ার সরে যাওয়ার ইঙ্গিতের পরও ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের একাধিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে ৷ এদিকে ন্যাটো জানিয়েছে যে সত্যিই যদি সেনা রাশিয়া সরায়, তাহলে তাকে স্বাগত জানানো হবে ৷
আরও পড়ুন : Indians in Kyiv to Return : ইউক্রেনে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরার কথা জানাল বিদেশ মন্ত্রক