ETV Bharat / international

বিশ্ব শিক্ষক পুরস্কার জিতলেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষক

ফাইনালিস্টদের সঙ্গে পুরস্কার মূল্যের অর্ধেক ভাগ করে নেবেন বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের ওই শিক্ষক। বিশ্বজুড়ে 10 জন চূড়ান্ত প্রার্থীর মধ্যে গ্লোবাল টিচার প্রাইজ় বিজয়ী হয়ে 1 মিলিয়ন ডলার জিতেছেন তিনি ।

Global Teacher Prize
Global Teacher Prize
author img

By

Published : Dec 4, 2020, 8:29 AM IST

লন্ডন, 4 ডিসেম্বর : ভারতে নারী শিক্ষার প্রচার ও কুইক রেসপন্স কোডেড টেক্সটবুক বিপ্লবে উল্লেখযোগ্য অবদানকে স্বীকৃতি। 2020-র বার্ষিক গ্লোবাল শিক্ষক পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে। গতকাল তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় ।

মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার পারিতেওয়াড়ি গ্রামের 32 বছর বয়সি রঞ্জিতসিন দিসেল বিশ্বজুড়ে 10 জন চূড়ান্ত প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন । এই পেশায় অসামান্য অবদানের জন্য 2014 সাল থেকে বার্ষিক এই পুরষ্কার দেওয়া শুরু করে ভারকি ফাউন্ডেশন ।

শিক্ষকরাই বিশ্বে "প্রকৃত পরিবর্তন" আনতে পারেন বলে মনে করেন রঞ্জিতসিন দিসেল। তিনি জানিয়েছেন, এই কাজকে সমর্থন করার জন্য তাঁর পুরস্কারের 50 শতাংশ অর্থ তিনি অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন । তাঁর মতে, "কোরোনা প্যানডেমিকের সময় শিক্ষকরা তাঁদের সর্বোচ্চ দিয়ে এটা নিশ্চিত করেছেন যে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী যাতে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।"

2009 সালে সোলাপুর জেলার পারিতেওয়াড়ি গ্রামের জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন রঞ্জিতসিন দিসেল। সেই সময় জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল বিদ্যালয়টি । একটি গোয়াল ও একটি স্টোররুমের মাঝে ছিল সেই বিল্ডিং । সেই সময় থেকেই স্কুলের জরাজীর্ণ অবস্থা দূর করা এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্থানীয় ভাষায় পাঠ্য-পুস্তকের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেন এই শিক্ষক। ক্লাসের টেক্সটবুকগুলি কেবল ছাত্রছাত্রীদের মাতৃভাষায় অনুবাদই করেননি, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অডিয়ো কবিতা, ভিডিয়ো বক্তৃতা, গল্প এবং অ্যাসাইনমেন্টে অ্যাক্সেস দেওয়ার জন্য ইউনিক কিউআর কোডেরও ব্যবস্থা করেন ।

এহেন শিক্ষকের হস্তক্ষেপে বর্তমানে ওই এলাকায় নাবালিকা বিয়ে প্রায় নেই বললেই চলে। স্কুলেও মেয়েদের উপস্থিতিও 100% ।

লন্ডন, 4 ডিসেম্বর : ভারতে নারী শিক্ষার প্রচার ও কুইক রেসপন্স কোডেড টেক্সটবুক বিপ্লবে উল্লেখযোগ্য অবদানকে স্বীকৃতি। 2020-র বার্ষিক গ্লোবাল শিক্ষক পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে। গতকাল তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় ।

মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার পারিতেওয়াড়ি গ্রামের 32 বছর বয়সি রঞ্জিতসিন দিসেল বিশ্বজুড়ে 10 জন চূড়ান্ত প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন । এই পেশায় অসামান্য অবদানের জন্য 2014 সাল থেকে বার্ষিক এই পুরষ্কার দেওয়া শুরু করে ভারকি ফাউন্ডেশন ।

শিক্ষকরাই বিশ্বে "প্রকৃত পরিবর্তন" আনতে পারেন বলে মনে করেন রঞ্জিতসিন দিসেল। তিনি জানিয়েছেন, এই কাজকে সমর্থন করার জন্য তাঁর পুরস্কারের 50 শতাংশ অর্থ তিনি অন্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন । তাঁর মতে, "কোরোনা প্যানডেমিকের সময় শিক্ষকরা তাঁদের সর্বোচ্চ দিয়ে এটা নিশ্চিত করেছেন যে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী যাতে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।"

2009 সালে সোলাপুর জেলার পারিতেওয়াড়ি গ্রামের জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন রঞ্জিতসিন দিসেল। সেই সময় জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল বিদ্যালয়টি । একটি গোয়াল ও একটি স্টোররুমের মাঝে ছিল সেই বিল্ডিং । সেই সময় থেকেই স্কুলের জরাজীর্ণ অবস্থা দূর করা এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্থানীয় ভাষায় পাঠ্য-পুস্তকের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেন এই শিক্ষক। ক্লাসের টেক্সটবুকগুলি কেবল ছাত্রছাত্রীদের মাতৃভাষায় অনুবাদই করেননি, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অডিয়ো কবিতা, ভিডিয়ো বক্তৃতা, গল্প এবং অ্যাসাইনমেন্টে অ্যাক্সেস দেওয়ার জন্য ইউনিক কিউআর কোডেরও ব্যবস্থা করেন ।

এহেন শিক্ষকের হস্তক্ষেপে বর্তমানে ওই এলাকায় নাবালিকা বিয়ে প্রায় নেই বললেই চলে। স্কুলেও মেয়েদের উপস্থিতিও 100% ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.