মস্কো, 26 ফেব্রুয়ারি : নিষেধ উপেক্ষা করে রুশ সেনা ইউক্রেন আক্রমণ করায় রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যার মধ্যে রয়েছে আমদানি-রফতানি থেকে শুরু করে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত হস্তান্তর সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ ৷ এবার এই বিধি-নিষেধের ফলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের (International Space Station) ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিল ৷ এমনকি এর ফলে ভারতের উপর মহাকাশ কেন্দ্র ভেঙে পড়তে পারে (International Space Station may fall on India) বলেও আশঙ্কা রুশ বিজ্ঞানীদের ৷
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস এর প্রধান জেনারাল দিমিত্রি রোগোজিন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "যদি এভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হয় , তাহলে মহাকাশ কেন্দ্রের বর্জ্য পদার্থ থেকে আমেরিকা, ইউরোপকে কে রক্ষা করবে ?" একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "ভারত বা চিনের উপর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের 500 টনের একটা অংশ ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও থাকছে ৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র রাশিয়ার মাথার উপর নেই, তাই তোমাদেরই সঙ্কটের আশঙ্কা ৷ এর জন্য তৈরি তো ?" বিষয়টিকে এক বন্ধুর পরামর্শ বলে দাবি করেছেন এই রুশ মহাকাশ বিজ্ঞানী ৷ বলেছেন, "আমেরিকার এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করা ঠিক নয় ৷"
যদিও এই বিষয়টিকে মানতে চায়নি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ৷ তাদের দাবি, নয়া নিষেধাজ্ঞা কোনও ভাবেই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় ৷ এক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতে যেরকম চলছিল চলবে ৷ মহাকাশ কেন্দ্রের কক্ষপথ নিয়ন্ত্রণ ও গ্রাউন্ড স্টেশন কাজে এর প্রভাব পড়বে না ৷
আরও পড়ুন : দেশ ছাড়ার মার্কিন প্রস্তাব খারিজ জেলেনস্কির, বদলে স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ের ভিডিয়ো বার্তা
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র হল মহাকাশে ভাসমান একটি গবেষণা কেন্দ্র ৷ আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান ৷ প্রায় 250 মাইল উপর থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে ৷ এই মহাকাশ কেন্দ্রে বর্তমানে আমেরিকার চার, রাশিয়ার দু'জন এবং ইউরোপের 1 জন মহাকাশচারী রয়েছেন ৷
1991 সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তৈরি হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র ৷ রাশিয়া-আমেরিকার সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টার অন্যতম ফসল এটি ৷ এছাড়াও ইউরোপ, জাপান ও কানাডার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব রয়েছে এই প্রকল্পে ৷