লন্ডন, 24 এপ্রিল : মানুষের শরীরে কোরোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন পরীক্ষা (হিউম্যান ট্রায়াল) শুরু হল । অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা শুরু করেছেন । 18 থেকে 55 বছর বয়সি 800-র বেশি মানুষকে এই প্রতিষেধক দেওয়া হবে । প্রথম দুজনের শরীরে ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে । এই প্রতিষেধকটি নিয়ে আশাবাদী ইবোলার প্রতিষেধক তৈরিতে পথ দেখানো বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট ৷ তিনি রয়েছেন এই গবেষণার নেতৃত্বে ৷
800 জনের মধ্যে 400জনকে ‘কোভিড-19 ভ্যাকসিন’ দেওয়া হবে । বাকিদের ম্যানেনজ়াইটিস প্রতিরোধক দেওয়া হবে । গবেষকরা জানবেন, কার শরীরে কী ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে । তবে যাঁদের উপর পরীক্ষা করা হচ্ছে, এই বিষয়টি তাঁরা জানবেন না ।
এলিসা গ্র্যানাটো নামে এক বিজ্ঞানীর শরীরে ইতিমধ্যেই কোভিড-19 ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে । তিনি এই বিষয়ে বলেন, “আমি একজন বিজ্ঞানী । আমি যেভাবে পারব বিজ্ঞানীদের এই উদ্যোগে সাহায্য করব ।”
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল তিন মাসে এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে । প্রথিতযশা বিজ্ঞানী সারা এই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন । ভ্যাক্সিনোলজি নিয়ে বিশ্বমানের খ্যাতি রয়েছে তাঁর ৷
এই অধ্যাপক বলেন, “আমার এই প্রতিষেধকের প্রতি ভরসা রয়েছে । আমাদের মানব শরীরে পরীক্ষা করতেই হবে । কী ফল পাওয়া যায় তাও দেখতে হবে । এইটা মানুষকে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে কি না এখন তা দেখার ।” অক্সফোর্ড এই গবেষক দল ইতিমধ্যেই Mers (এক প্রকারের কোরোনা ভাইরাস) –র ভ্যাকসিন তৈরি করেছে । তাও পরীক্ষা চলছে ।
সাধারণ কোল্ড ভাইরাস থেকে এই ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়েছে । যা শিম্পাঞ্জির শরীরে তৈরি, তাই মানুষের শরীরে এর বৃদ্ধি হবে না । কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে এটি সক্ষম বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা । যাঁরা স্বেচ্ছায় এই গবেষণায় নিজেদের পরীক্ষা করতে দিতে এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে । প্রত্যেকটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা হবে ।