ETV Bharat / international

ভারতের বিচক্ষণতা কি জিতবে চিনের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে ?

author img

By

Published : Sep 1, 2020, 9:30 AM IST

বাণিজ্যিক সুবিধার্থে মধ্য এশিয় দেশগুলিতে বাণিজ্যপথ তৈরি প্রসঙ্গে রেলপথ ব্যবহার করা নিয়ে ব্যক্ত করলেন বিলাল ভাট ৷

will-indias-wisdom-prevail-against-chinas-treachery
ভারতের বিচক্ষণতা কি জিতবে চিনের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে?

নিজের বাজারকে শক্তিসমৃদ্ধ করতে এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পৌঁছে দিতে ভারত সবসময়ই এই সমস্ত জায়গায় পৌঁছতে সংক্ষিপ্ততম বাণিজ্যপথটি খুঁজে পেতে আগ্রহী । ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, এই পরিকল্পনায় ইরান ভারতের স্বাভাবিক অংশীদার । চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভারতকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে সাহায্য করবে । এজন্য ভারত চেয়েছিল পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে একটি বাণিজ্যপথ তৈরি করতে, যা একমাত্র চাবাহারের মধ্যে দিয়েই সম্ভব, কারণ ইরান ও আফগানিস্তান একে অপরের সঙ্গে স্থলভাগ দ্বারা যুক্ত । ইরান ও ভারতের মধ্যে শুধু জলপথ ও আকাশপথেই যোগাযোগ রয়েছে ।

চারপাশে স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা আফগানিস্তান রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশিরভাগটাই পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল । তারাও অন্যান্য পথ তৈরি করে পাকিস্তানের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে চেয়েছে । কিন্তু তাদের বিকল্প পথের সন্ধান শেষ হয়েছে কিংবদন্তি ইরানীয় সেনানায়ক কাশেম সুলেইমানির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই, যিনি আফগানিস্তানের উত্তর অংশে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন এবং এলিট ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস (IRG)-এর শাখা কুডস বাহিনীর নেতা ছিলেন । সুলেইমানি বন্দরের মাধ্যমে তিনটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে ভূমিকা পালন করেছিলেন । তিনি শিয়া আফগান সংখ্যালঘু হাজারাদের মধ্যেও খুবই জনপ্রিয় ছিলেন, যার ফলে তিনিই ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ইরান ও ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে আফগান নেতৃত্বকে চাপ দিতে পারতেন । হায়দরাবাদে ইরানের কনসাল জেনারেল মহম্মদ হাঘবিন ঘোমি এই প্রতিবেদককে বলেন, “কাশেমই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি সেই পরিকল্পনা তৈরি ও রূপায়ন করেন, যা তিনটি দেশকে একজোট করেছে ।”

আমেরিকার নিষিদ্ধ IRG ছিল ভারতের অস্বস্তির কারণ । এর সঙ্গে যে কোনওরকম নৈকট্য আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারত । বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে কাশেমের জড়িত থাকাটা একদমই বেশি আলোচিত হয়নি । পাকিস্তানের গদর বন্দর থেকে মাত্র 68 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাবাহার বন্দর রয়েছে সিস্তান প্রদেশে । এটাই ছিল আফগান সরকারের আকর্ষণের কেন্দ্রে কারণ ভারত, ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চুক্তির জেরে সামান্য অর্থের বিনিময়ে আফগানিস্তান এই বন্দর ব্যবহার করতে পারত । এই বন্দর ভারতের সামনে পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশে পৌঁছনোর সুযোগ করে দেয় । এতে বিকল্প রুটে পণ্য পরিবহণের সুযোগের ফলে আফগানিস্তানের কাছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক গুরুত্বও কমে যায় । এক দশক আগে চাবাহার ও আফগানিস্তানের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়, যা আফগানিস্তানের দক্ষিণে হিরাট ও কান্দাহারকে যুক্ত করে । পাশাপাশি এই সড়ক কাবুল ও হাজারা প্রভাবিত উত্তর আফগানিস্তানকেও সংযুক্ত করে । যে রিল যোগাযোগ ভারত চাবাহার থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, তার নির্মাণকাজ সময়ে শুরু হলে তা ইরান, আফগানিস্তান ও ভারত – তিন দেশেরই উপকারে আসত । মধ্য এশিয়ায় পৌঁছতে ভারতের সংক্ষিপ্ততম রুট চাবাহার-আফগানিস্তান হয়ে । ইরান ও ভারত চার বছর আগে একটি চুক্তি স্বাক্ষক করে চাবাহার ও জ়াহেদানের মধ্যে একটি রেলপথ নির্মাণের, কিন্তু তা কখনও শুরুই হয়নি । চুক্তি অনুযায়ী, এই সম্পূর্ণ নির্মাণকাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় সংস্থা হল ইরকন । সমস্যা শুরু হয়, যখন ইরান তাদের একটি সংস্থাকে প্রকল্পে যুক্ত করতে বলে । ভারতের পক্ষে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য ছিল না, কারণ যে সংস্থার সুপারিশ ইরান করেছিল, তার সঙ্গে IRG (ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস)-র যোগ ছিল, যাদের আমেরিকা সুনজরে দেখে না। আফগানিস্তান ও ইরানকে কাছাকাছি আনতে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেই সুলেইমানি এই বছরের 3 জানুয়ারি ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন । তাঁর মৃত্যু চাবাহার-জ়াহেদান রেল প্রকল্পকে থমকে দেয় । ভারত নিস্পৃহ থাকে, কারণ সে চায়নি যে আরও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী আমেরিকার কাছে ভারত ইরানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হোক ।

ইরানের ক্ষেত্রে ভারত “সবার সঙ্গে আদানপ্রদান, কিন্তু বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে নয়” নীতি নিয়ে চলে । কিন্তু এই কৌশলগত পদক্ষেপের জন্য ভারতকে বিরাট মূল্য দিতে হয়েছে, কারণ চিন বন্দর থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত রেলপথ তৈরির জন্য ইরানের সঙ্গে গোপনে চুক্তি করে ফেলেছে । হাঘবিন ঘোমি একথা অস্বীকার করেন যে চিন রেল প্রকল্প চালাবে, এবং বলেন যে সমস্ত কর্মকাণ্ডই ইরানের নিজস্ব । ইরান দাবি করছে যে তারা চাবাহার-জ়াহেদান রেলপথ তৈরির জন্য নিজেদের রসদই ব্যবহার করছে ।

BRI-এর (বর্ডার রোডস ইনিশিয়েটিভ)মাধ্যমে CEPC-তে (চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর) চিন বিনিয়োগ করছে । গদর বন্দরের মাধ্যমে বিশ্ববাজার ধরতে চিনের এই পথ তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক রুট । একে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা যেত, যদি চাবাহার-জ়াহেদান রেল প্রকল্পে ভারতের সহায়তা ফলপ্রসূ হত ।

আমেরিকা ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ফলে, বেজিং সুযোগ পেয়েছে এই অবরুদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিকে অংশীদার করার । চিন আগামী 25 বছরে 400 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে, যদিও এই চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে হওয়া এখনও বাকি । আমেরিকার ইরান-নীতিকে অগ্রাহ্য করতে ভারতের অনীহা চিনকে সুযোগ করে দিয়েছে এগিয়ে আসার । এবার ভারতের পালা একটা কৌশলী পদক্ষেপের, যা শুধু চিনের সঙ্গে ইরানের চুক্তিতে বাধা দেবে না, পাশাপাশি আমেরিকার বিরক্তি উৎপাদন না করে এই শক্তিসমৃদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের পুনঃপ্রবেশ ঘটাবে । প্রবঞ্চক চিনের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হবে বিচক্ষণতাকে ।

নিজের বাজারকে শক্তিসমৃদ্ধ করতে এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে পৌঁছে দিতে ভারত সবসময়ই এই সমস্ত জায়গায় পৌঁছতে সংক্ষিপ্ততম বাণিজ্যপথটি খুঁজে পেতে আগ্রহী । ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী, এই পরিকল্পনায় ইরান ভারতের স্বাভাবিক অংশীদার । চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভারতকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে সাহায্য করবে । এজন্য ভারত চেয়েছিল পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে একটি বাণিজ্যপথ তৈরি করতে, যা একমাত্র চাবাহারের মধ্যে দিয়েই সম্ভব, কারণ ইরান ও আফগানিস্তান একে অপরের সঙ্গে স্থলভাগ দ্বারা যুক্ত । ইরান ও ভারতের মধ্যে শুধু জলপথ ও আকাশপথেই যোগাযোগ রয়েছে ।

চারপাশে স্থলভাগ দিয়ে ঘেরা আফগানিস্তান রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশিরভাগটাই পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল । তারাও অন্যান্য পথ তৈরি করে পাকিস্তানের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে চেয়েছে । কিন্তু তাদের বিকল্প পথের সন্ধান শেষ হয়েছে কিংবদন্তি ইরানীয় সেনানায়ক কাশেম সুলেইমানির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই, যিনি আফগানিস্তানের উত্তর অংশে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন এবং এলিট ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস (IRG)-এর শাখা কুডস বাহিনীর নেতা ছিলেন । সুলেইমানি বন্দরের মাধ্যমে তিনটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে ভূমিকা পালন করেছিলেন । তিনি শিয়া আফগান সংখ্যালঘু হাজারাদের মধ্যেও খুবই জনপ্রিয় ছিলেন, যার ফলে তিনিই ছিলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ইরান ও ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে আফগান নেতৃত্বকে চাপ দিতে পারতেন । হায়দরাবাদে ইরানের কনসাল জেনারেল মহম্মদ হাঘবিন ঘোমি এই প্রতিবেদককে বলেন, “কাশেমই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি সেই পরিকল্পনা তৈরি ও রূপায়ন করেন, যা তিনটি দেশকে একজোট করেছে ।”

আমেরিকার নিষিদ্ধ IRG ছিল ভারতের অস্বস্তির কারণ । এর সঙ্গে যে কোনওরকম নৈকট্য আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে পারত । বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে কাশেমের জড়িত থাকাটা একদমই বেশি আলোচিত হয়নি । পাকিস্তানের গদর বন্দর থেকে মাত্র 68 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাবাহার বন্দর রয়েছে সিস্তান প্রদেশে । এটাই ছিল আফগান সরকারের আকর্ষণের কেন্দ্রে কারণ ভারত, ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চুক্তির জেরে সামান্য অর্থের বিনিময়ে আফগানিস্তান এই বন্দর ব্যবহার করতে পারত । এই বন্দর ভারতের সামনে পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশে পৌঁছনোর সুযোগ করে দেয় । এতে বিকল্প রুটে পণ্য পরিবহণের সুযোগের ফলে আফগানিস্তানের কাছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক গুরুত্বও কমে যায় । এক দশক আগে চাবাহার ও আফগানিস্তানের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়, যা আফগানিস্তানের দক্ষিণে হিরাট ও কান্দাহারকে যুক্ত করে । পাশাপাশি এই সড়ক কাবুল ও হাজারা প্রভাবিত উত্তর আফগানিস্তানকেও সংযুক্ত করে । যে রিল যোগাযোগ ভারত চাবাহার থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, তার নির্মাণকাজ সময়ে শুরু হলে তা ইরান, আফগানিস্তান ও ভারত – তিন দেশেরই উপকারে আসত । মধ্য এশিয়ায় পৌঁছতে ভারতের সংক্ষিপ্ততম রুট চাবাহার-আফগানিস্তান হয়ে । ইরান ও ভারত চার বছর আগে একটি চুক্তি স্বাক্ষক করে চাবাহার ও জ়াহেদানের মধ্যে একটি রেলপথ নির্মাণের, কিন্তু তা কখনও শুরুই হয়নি । চুক্তি অনুযায়ী, এই সম্পূর্ণ নির্মাণকাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় সংস্থা হল ইরকন । সমস্যা শুরু হয়, যখন ইরান তাদের একটি সংস্থাকে প্রকল্পে যুক্ত করতে বলে । ভারতের পক্ষে এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য ছিল না, কারণ যে সংস্থার সুপারিশ ইরান করেছিল, তার সঙ্গে IRG (ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস)-র যোগ ছিল, যাদের আমেরিকা সুনজরে দেখে না। আফগানিস্তান ও ইরানকে কাছাকাছি আনতে যিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেই সুলেইমানি এই বছরের 3 জানুয়ারি ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন । তাঁর মৃত্যু চাবাহার-জ়াহেদান রেল প্রকল্পকে থমকে দেয় । ভারত নিস্পৃহ থাকে, কারণ সে চায়নি যে আরও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী আমেরিকার কাছে ভারত ইরানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হোক ।

ইরানের ক্ষেত্রে ভারত “সবার সঙ্গে আদানপ্রদান, কিন্তু বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে নয়” নীতি নিয়ে চলে । কিন্তু এই কৌশলগত পদক্ষেপের জন্য ভারতকে বিরাট মূল্য দিতে হয়েছে, কারণ চিন বন্দর থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত রেলপথ তৈরির জন্য ইরানের সঙ্গে গোপনে চুক্তি করে ফেলেছে । হাঘবিন ঘোমি একথা অস্বীকার করেন যে চিন রেল প্রকল্প চালাবে, এবং বলেন যে সমস্ত কর্মকাণ্ডই ইরানের নিজস্ব । ইরান দাবি করছে যে তারা চাবাহার-জ়াহেদান রেলপথ তৈরির জন্য নিজেদের রসদই ব্যবহার করছে ।

BRI-এর (বর্ডার রোডস ইনিশিয়েটিভ)মাধ্যমে CEPC-তে (চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর) চিন বিনিয়োগ করছে । গদর বন্দরের মাধ্যমে বিশ্ববাজার ধরতে চিনের এই পথ তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক রুট । একে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা যেত, যদি চাবাহার-জ়াহেদান রেল প্রকল্পে ভারতের সহায়তা ফলপ্রসূ হত ।

আমেরিকা ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ফলে, বেজিং সুযোগ পেয়েছে এই অবরুদ্ধ উপসাগরীয় দেশটিকে অংশীদার করার । চিন আগামী 25 বছরে 400 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে, যদিও এই চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে হওয়া এখনও বাকি । আমেরিকার ইরান-নীতিকে অগ্রাহ্য করতে ভারতের অনীহা চিনকে সুযোগ করে দিয়েছে এগিয়ে আসার । এবার ভারতের পালা একটা কৌশলী পদক্ষেপের, যা শুধু চিনের সঙ্গে ইরানের চুক্তিতে বাধা দেবে না, পাশাপাশি আমেরিকার বিরক্তি উৎপাদন না করে এই শক্তিসমৃদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের পুনঃপ্রবেশ ঘটাবে । প্রবঞ্চক চিনের বিরুদ্ধে জয়ী হতে হবে বিচক্ষণতাকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.