ETV Bharat / international

কোরোনা প্রতিরোধে চিনের পদ্ধতি আশার আলো দেখাচ্ছে: WHO - কোরোনা ভাইরাস খবর

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে বলা হল চিনের কোরোনা প্রতিরোধ পদ্ধতি শিক্ষণীয় ৷ বাকি দেশগুলির উচিত চিনের থেকে শিক্ষা নেওয়া ৷

WHO says China's Success In Fighting Coronavirus is "Hope For Rest Of World"
কোরোনা প্রতিরোধ
author img

By

Published : Mar 23, 2020, 2:51 PM IST

বেজিং, 23 মার্চ: চিন যেভাবে কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লড়াই করেছে, তার প্রশংসা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর প্রধান বলেন, ‘‘ চিনের লড়াই বাকি দেশগুলির জন্য আশার আলো দেখাতে পারে ৷ তবে বাকিদের মতে, পশ্চিমী দেশগুলিতে চিনের এই পদ্ধতি আদৌ কি অনুসরণ করা সম্ভব?

বিগত চারদিনে চিনে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কেবল একজন ৷ কোরোনা মোকাবিলায় চিনের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে WHO প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম বলেন, ‘‘বিশ্বের বাকি দেশগুলির কাছে এটি আসার আলো দেখাচ্ছে ৷’’

কী কী পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল চিনে-

1 ক্লোজ়-ডাউন: ডিসেম্বর মাসে চিনে কোরোনা ভাইরাসের দেখা মেলে ৷ জানুয়ারি মাসেই সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় চিনের হুবেই প্রদেশ, আইসোলেশনে রাখা হয় 50 লাখ মানুষকে ৷ ধীরে ধীরে দেশের সমস্ত বাসিন্দাকেই বাড়িতে কোয়ারানটাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় দুই সপ্তাহের জন্য ৷ এরপর আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে ৷ চিনে একনায়কতন্ত্র চলায় চিনের নাগরিকরা নির্দেশ মানতে বাধ্য ছিল ৷ বিশ্বের বাকি অংশে গণতন্ত্র চলায় দেশবাসী লকডাউনের সিদ্ধান্ত কতটা মানবে, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ৷

2 দ্রুতগতিতে কাজ: দ্রুত গতিতে কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর চিনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে ৷ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় 42 হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের চিনে পাঠানো হয় চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য ৷ তবে সঠিক পরিকাঠামো না থাকায় 3300 স্বাস্থ্যকর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হন এবং 13জন মারা যান ৷ বর্তমানে চিনের রেড ক্রসের স্বাস্থ্যকর্মীরা ইট্যালিতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সাহায্য করছে ৷ তবে সমগ্র বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কোনও দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোই এত সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীর জোগান দিতে সক্ষম নয় ৷

3. মাস্ক ব্যবহার ও তাপমাত্রা মাপা: চিনে কোরোনা ছড়িয়ে পড়ার পর সকলেই মাস্ক ব্যবহার শুরু করেন ৷ চিনে প্রতিদিন 16 লাখ N-95 মাস্ক তৈরি করা হত ৷ শহরের প্রতিটি কোণায় পথচারীদের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হয় ৷ কোনও ব্যক্তির তাপমাত্রা 99.1 ফারেনহাইটের বেশি হলেই তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ৷

উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে প্রতিটি ব্যক্তিকে ফোনে QR কোড দেখাতে হত, তাঁদের হলুদ, লাল বা সবুজ রঙে রেটিং দেওয়া হত ৷ শহরবাসী কতটা ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করেছে, তা এই QR কোডের মাধ্যমে জানা যেত ৷ এই ব্যবস্থা আরও কয়েকদিন চলবে বলে জানা গিয়েছে ৷

কোরোনা আক্রান্ত বিশ্বের দেশগুলিতে একদিকে যেমন মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারের অভাব ও কালোবাজারি দেখা দিয়েছে, তেমনই উন্নত প্রযুক্তি না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত করতে সমস্যা দেখা দেবে ৷

বেজিং, 23 মার্চ: চিন যেভাবে কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লড়াই করেছে, তার প্রশংসা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর প্রধান বলেন, ‘‘ চিনের লড়াই বাকি দেশগুলির জন্য আশার আলো দেখাতে পারে ৷ তবে বাকিদের মতে, পশ্চিমী দেশগুলিতে চিনের এই পদ্ধতি আদৌ কি অনুসরণ করা সম্ভব?

বিগত চারদিনে চিনে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কেবল একজন ৷ কোরোনা মোকাবিলায় চিনের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে WHO প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম বলেন, ‘‘বিশ্বের বাকি দেশগুলির কাছে এটি আসার আলো দেখাচ্ছে ৷’’

কী কী পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল চিনে-

1 ক্লোজ়-ডাউন: ডিসেম্বর মাসে চিনে কোরোনা ভাইরাসের দেখা মেলে ৷ জানুয়ারি মাসেই সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় চিনের হুবেই প্রদেশ, আইসোলেশনে রাখা হয় 50 লাখ মানুষকে ৷ ধীরে ধীরে দেশের সমস্ত বাসিন্দাকেই বাড়িতে কোয়ারানটাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় দুই সপ্তাহের জন্য ৷ এরপর আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে ৷ চিনে একনায়কতন্ত্র চলায় চিনের নাগরিকরা নির্দেশ মানতে বাধ্য ছিল ৷ বিশ্বের বাকি অংশে গণতন্ত্র চলায় দেশবাসী লকডাউনের সিদ্ধান্ত কতটা মানবে, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে ৷

2 দ্রুতগতিতে কাজ: দ্রুত গতিতে কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর চিনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে ৷ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় 42 হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের চিনে পাঠানো হয় চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য ৷ তবে সঠিক পরিকাঠামো না থাকায় 3300 স্বাস্থ্যকর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হন এবং 13জন মারা যান ৷ বর্তমানে চিনের রেড ক্রসের স্বাস্থ্যকর্মীরা ইট্যালিতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সাহায্য করছে ৷ তবে সমগ্র বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কোনও দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোই এত সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীর জোগান দিতে সক্ষম নয় ৷

3. মাস্ক ব্যবহার ও তাপমাত্রা মাপা: চিনে কোরোনা ছড়িয়ে পড়ার পর সকলেই মাস্ক ব্যবহার শুরু করেন ৷ চিনে প্রতিদিন 16 লাখ N-95 মাস্ক তৈরি করা হত ৷ শহরের প্রতিটি কোণায় পথচারীদের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হয় ৷ কোনও ব্যক্তির তাপমাত্রা 99.1 ফারেনহাইটের বেশি হলেই তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ৷

উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে প্রতিটি ব্যক্তিকে ফোনে QR কোড দেখাতে হত, তাঁদের হলুদ, লাল বা সবুজ রঙে রেটিং দেওয়া হত ৷ শহরবাসী কতটা ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করেছে, তা এই QR কোডের মাধ্যমে জানা যেত ৷ এই ব্যবস্থা আরও কয়েকদিন চলবে বলে জানা গিয়েছে ৷

কোরোনা আক্রান্ত বিশ্বের দেশগুলিতে একদিকে যেমন মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারের অভাব ও কালোবাজারি দেখা দিয়েছে, তেমনই উন্নত প্রযুক্তি না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত করতে সমস্যা দেখা দেবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.