টোকিও, 4 জুলাই : জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়নেরকারণে চিড় ধরেছে চিন জাপান সম্পর্কে । চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জাপান সফরনিয়ে শাসক দল লিবারাল ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্দরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ । চাপ সৃষ্টিহচ্ছে শিনজ়ো আবের বিরুদ্ধে । যার জেরে এবার সেই সফর বাতিল হতে পারে বলে মনে করছেনবিশেষজ্ঞরা । 2008-এরপর এই ছিল চিনের কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম জাপান সফর । যদিও শিনজ়ো আবে বা তাঁরদপ্তর থেকে এখনও সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি ।
শুধুএই নয়, হংকংয়েচিনের ক্রমাগত প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান পরিস্থিতিতে শি জিনপিংয়েরজাপান সফর বাতিলের পক্ষে প্রস্তাবও আনছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সচিবরা ।
এপ্রিলেরশুরুতে জাপানে যাওয়ার কথা ছিল শি জিনপিংয়ের । কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি থেকেইবিশ্বে কোরোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় তা বাতিল হয় । ঠিক হয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেশিনজ়ো আবের শহরে যাবেন জিনপিং । কিন্তু সম্প্রতি হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষাআইন প্রণয়নের পর সমীকরণ পালটে যায় । হংকংয়ে থাকা জাপানিজ় কম্পানিগুলি ও হংকংয়েবসবাসকারী জাপানের নাগরিকদের নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়ে জাপানের সচিবরা । কারণআইন প্রণয়নের পর হংকংয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদেরমধ্যে জাপানের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ছিল । যার ফলে ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্দরে শুরুহয় বিক্ষোভ ।
পাশাপাশিহংকংয়ে জাপানের প্রায় 1400 টিকম্পানি রয়েছে যা চিনের বাণিজ্যের একটা বিরাট অংশ । এবং বিশ্বে সবচেয়ে বড় কৃষিপণ্যের আমদানিকারক । জাপানের আশঙ্কা হংকংয়ের এই কম্পানিগুলিকে সমস্যায় ফেলতে পারেএই জাতীয় নিরাপত্তা আইন । এর সঙ্গেই বিশ্বে কোরোনা সংক্রমণ ছেয়ে যাওয়ার জন্যচিনকেই দায়ি করে জাপান ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সব কিছুর জন্যই চিনের প্রেসিডেন্টেরের সফর বাতিলকরতে পারেন জাপানের প্রেসিডেন্ট শিনজ়ো আবে ।