ঢাকা, 24 ডিসেম্বর: বাংলাদেশে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে (Bangladesh launch fire) ৷ আগুনে পুড়ে ইতিমধ্যেই অন্তত 32 জনের মৃত্যুর (several died as launch catches fire) খবর পাওয়া যাচ্ছে ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷
শুক্রবার ভোররাতে ঝালোকাঠিতে (Jhalokathi ferry fire) সুগন্ধা নদীর উপর এমভি অভিযান শীর্ষক লঞ্চে ভয়াবহ আগুন লাগে ৷ দ্রুত গোটা লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে আগুন ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে ৷ চলছে উদ্ধারকাজ ৷ বেশ কয়েকটি দেহ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, প্রায় হাজারখানেক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনায় যাচ্ছিল লঞ্চটি ৷ রাত প্রায় 3টে নাগাদ লঞ্চে আগুন লাগে ৷ ঝালোকাঠির ডেপুটি কমিশনার জহর আলি এই খবর নিশ্চিত করেছেন ৷ বরিশাল দমকল বিভাগের সহ অধিকর্তা কামাল হোসেন ভুইয়াঁ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে ৷ অনেক যাত্রীকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ দমকলের পাঁচটি শাখা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ৷ তবে ঘন কুয়াশার কারণে ভোরের দিকে বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারী দলকে ৷
আরও পড়ুন: 50th Vijay Diwas : বিজয় দিবসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসিকতা স্মরণ করে টুইট মোদির
বিশেষ সূত্রে খবর, সুগন্ধা নদীর মাঝখানে থাকাকালীন লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে ৷ দ্রুত সেই আগুন গোটা লঞ্চে ছড়িয়ে যায় ৷ লঞ্চটিকে দিয়াকুল গ্রামের কাছে নদীর তীরে এনে দাঁড় করানো হয় ৷ মৃতদেহগুলি বের করে আনার জন্য এবং উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বরিশাল থেকে অগ্নি ঘাতক নামে একটি লঞ্চ নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ঝালোকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক জানিয়েছেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় 70 জন যাত্রীকে বের করে এনে ঝালোকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সে দেশের জাহাজমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরি ৷