ইসলামাবাদ, ২৪ ফেব্রুয়ারি : কাশ্মীরে অতিরিক্ত ১০০ কম্পানি আধা সেনা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার রাতে কাশ্মীরে প্রায় ১০ হাজার সেনা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪৫ কম্পানি CRPF, ৩৫ কম্পানি BSF এবং ১০ কম্পানি করে সশস্ত্র সীমা বল (SSB) ও ইন্দো-তিব্বত সীমা পুলিশ (ITBP)। ভারতের এই সিদ্ধান্তের পরই পশ্চিম থেকে কিছু সেনা সরিয়ে পূর্ব সীমান্তে নিয়ে এসেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের এক কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, "পাকিস্তান আশঙ্কার পরিবেশ চায় না। কিন্তু, ভারত যদি যুদ্ধ শুরু করে তবে দেশটি পুরোদমে জবাব দিতে প্রস্তুত।" যুদ্ধবিরতি চুক্তি লংঙ্ঘন করে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় নৌসেরা সেক্টরে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান সেনা। এরপর সেনা সরানোর এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্রের খবর, রাজৌরি জেলায় বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানি সেনারা মর্টার ছুড়েছে ও গোলাগুলি চালিয়েছে। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। শুক্রবার পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনেরাল জাভেদ বাজওয়া নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিদর্শন করেন। সেনাদের তৈরি থাকারও নির্দেশ দেন তিনি। ওইদিনই পাকিস্তান সেনার মুখপাত্র মেজর জেনেরাল আসিফ ঘাফুর বলেন, "পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না। কিন্তু আক্রমণ হলে পুরোদমে জবাব দেবে।"
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। তারপর জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ফলস্বরূপ, পুলওয়ামা হামলার দিনকয়েকের মধ্যেই সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ও জইশ-ই-মহম্মদের এক কমান্ডারকে খতম করে নিরাপত্তাবাহিনী। তারপর গতরাতে রাজ্যজুড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের খোঁজে তল্লাশি চালায়। জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট নেতা ইয়াসিন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া জামাত-ই-ইসলামির প্রধান আবদুল হামিদ ফয়াজসহ ১২ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।