ইসলামাবাদ, 2 সেপ্টেম্বর : ভারতে প্রতি নিয়ত চড়ছে কোরোনা সংক্রমণের পারদ । প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে 70 হাজারেরও বেশি মানুষ । কিন্তু প্রতিবেশী দেশের চিত্রটা একেবারে আলাদা । সেখানে না কি ক্রমেই কমছে সংক্রমণের সংখ্যা । প্যানডেমিক কোরোনাকে না কি হারিয়ে দিয়েছে ইমরান খানের দেশ । কীভাবে এটা সম্ভব তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা । প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী তথ্য লুকোচ্ছে প্রশাসন ? না কি পরীক্ষা করা কমিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর ? এবিষয়ে অবশ্য অন্য যুক্তি দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার ।
জানুয়ারির শেষের দিকে ভারতের মতো পাকিস্তানেও কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে । তারপর সেখানেও লাফিয়েই বাড়ছিল কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন মন্ত্রী, আমলারাও । মার্চে এখানেও শুরু হয় লকডাউন । তারপর হঠাৎ কমতে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা । গত কয়েক সপ্তাহে যা আরও কমে যায় । পাকিস্তানের যেসকল এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ সেখানেও সেভাবে নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না । এমন পরিসংখ্যান সামনে আসার পরই হকচকিয়ে গেছেন বিশেষজ্ঞরা । তাঁরা বলছেন, যে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মান এমনিই খারাপ, যে দেশ আগেও নানা রোগের মোকাবিলা করতে হিমশিম খেয়েছে, সেদেশ কোরোনার মতো ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করল, তা বিশ্বাসযোগ্য নয় ।
তাঁরা মনে করছেন প্রশাসনের তরফে লুকানো হচ্ছে আসল তথ্য । কমিয়ে দেওয়া হতে পারে ব়্যাপিড টেস্টও । এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা কম করে দেখানো হতে পারে । তাছাড়াও মৃত্যুর সংখ্যা অবিশ্বাস্যভাবে কমতে থাকায় সেবিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যে দেশে একজন আমলা কোরোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বিনা চিকিৎসায় মারা যান সেদেশে এভাবে মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাওয়া সম্ভব নয় ।
এর সপক্ষে অবশ্য এদেশের প্রশাসনের যুক্তি, দেশে গরম বেশি তাই কোরোনা কাবু করতে পারছে না । আবার প্রশাসনের একাংশ দাবি করছে, এদেশে যুব শক্তি বেশি । যুব সমাজে কোরোনা সংক্রমণের প্রভাব কম ।
প্রশাসনের এমন দাবি কার্যত খারিজ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ । এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা । এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গরমে কোরোনা ভাইরাসের দাপট কমে যাওয়ার বিষয়ে একমত নয় ।
প্রসঙ্গত, বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা 10-এরও নিচে রয়েছে । এপর্যন্ত কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র তিন লাখ ।