শ্রীনগর, ২২ ফেব্রুয়ারি : পুলওয়ামা হামলার পর ভারত প্রত্যাঘাত করবে। সেই আশঙ্কায় নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করল পাকিস্তান। জইশ-ই-মহম্মদের মাথা মাসুদ আজ়হার পাকিস্তান সরকারকে ভারতের চাপের মুখে নতি স্বীকার না করার কথাও বলেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাদের হাতে দুটি সরকারি নথি এসেছে। একটি বালুচিস্তানের পাকিস্তান সেনার তরফে পাঠানো হয়েছে। অপরটি পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তান সেনার হেডকোয়ার্টার্স কোয়েটা লজিস্টিক এরিয়ার তরফে বুধবার জিলানি হাসপাতালকে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, "ইস্টার্ন ফ্রন্টে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে সিন্ধ ও পঞ্জাবের সামরিক ও অসামরিক হাসপাতাল থেকে কোয়েটা লজিস্টিক এরিয়ায় অনেক জখম জওয়ানদের নিয়ে আসা হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর জওয়ানদের বালুচিস্তানের সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। সামরিক ও অসামরিক হাসপাতালে বেড খালি না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই তাদের রাখা হবে।" চিঠিটি হেডকোয়ার্টার্স কোয়েটা লজিস্টিক এরিয়ার ফোর্স কমান্ডার আশিয়া নাজ় লিখেছে।
এছাড়া চিঠিতে বলা হয়েছে, "(বালুচিস্তান) প্রদেশের সব সামরিক ও অসামরিক হাসপাতালগুলির সম্মিলিত চিকিৎসা পরিষেবাকে জুড়ে লজিস্টিক এরিয়াতে চিকিৎসা বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে সামরিক হাসপাতালে বেডের সংখ্যা কম হলে অসামরিক হাসপাতালগুলির ২৫ শতাংশ বেড তৈরি রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের অন্য এলাকা থেকে আমরা ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। বালুচিস্তান থেকেও একইরকম প্রতিক্রিয়ার আশা করছি।"
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সরকারের তরফে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর নিলুম, ঝেলুম, রাওয়ালকোট, কোটলি, ভিমবার ও হাওয়েলির স্থানীয় প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় সেনা সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়, "নিরাপদ রাস্তা দিয়ে যাতাযাত করুন। একসঙ্গে অনেকে একত্রিত হবেন না। যাঁদের বাঙ্কার নেই, তাঁরা যেন দ্রুত বাঙ্কার তৈরি করেন। রাতে বাড়িতে অযথা আলো জ্বালাবেন না।" লাইন অফ কন্ট্রোলের কাছে অযথা যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এর আগে, সার্জিকাল স্ট্রাইকের আশঙ্কায় লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর লঞ্চপ্যাড থেকে জঙ্গিদের সরিয়ে সেনা ছাউনির কাছে নিয়ে যায় পাকিস্তান।