ETV Bharat / international

সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথভাবে কাজ করবে দিল্লি-রিয়াধ

সৌদিতে বসবাস করেন বিপুল পরিমাণ ভারতীয়, সংখ্যাটা প্রায় 2.6 মিলিয়ন, যারা সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা নেবে ।

author img

By

Published : Nov 2, 2019, 1:58 PM IST

Updated : Nov 2, 2019, 2:26 PM IST

দিল্লি-রিয়াধ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 28-29 অক্টোবর, 2019 সালে সৌদি আরব সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে শক্তি এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । সৌদিতে বসবাস করেন বিপুল পরিমাণ ভারতীয়, সংখ্যাটা প্রায় 2.6 মিলিয়ন, যারা সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা নেবে । এই সফর উপসাগরীয় অঞ্চলে যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ।

তবে, এই সফরের সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিকটা হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বিন আবদুলআজিজ আল-সৌদি যেভাবে নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন, সেটা । 2010 সালের মার্চে রিয়াধ ঘোষণাপত্র অনুসারে ভারত-সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । দু'দেশের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে এই সফর অত্যন্ত কার্যকর । শুধু আদানপ্রদান নয়, প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ । দুই দেশের বিদেশ ও বাণিজ্য মন্ত্রকের দুটি সমান্তরাল কাউন্সিলও তৈরির কথা চূড়ান্ত হয়েছে ।

শক্তি এবং বিনিয়োগের মজবুত ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই কাউন্সিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ভারত, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অ্যামেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে সৌদি আরবের বিশেষ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ।

ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের ব্যক্তিগত ক্যারিশমার কথা বলতেই হবে । অক্টোবর 2019 সালের প্রথমে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত ডোভালের সৌদি আবর সফর মোদির এই সফরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল ।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ দমন-এই দুটি ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়াই এই কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অন্যতম উদ্দেশ্য ।

ভারত মহাসাগরীয় এবং উপসাগরীয় এলাকায় সামুদ্রিক নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করার বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দুই দেশই যে অঙ্গীকারবদ্ধ, তা যৌথ বিবৃতিতে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে । ভারত-সৌদি আরব যৌথ নৌ-মহড়া অনুষ্ঠিত হবে 2020 সালের জানুয়ারিতে । ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যৌথভাবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে একসঙ্গে দুই দেশ কাজ করবে ।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, এ ক্ষেত্রে তথ্য আদানপ্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া হবে । সৌদি সাহায্যপ্রাপ্ত রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস দমন সেন্টারের উন্নয়নে দুই দেশ একত্রে কাজ করবে । 2011 সালে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ দমনে এই সংস্থাটি তৈরি করা হয়েছিল । 2 এপ্রিল 2012 সাল থেকে ভারত 22 সদস্য রাষ্ট্রের UNCTC-এর সদস্য হয় ।

উপসাগরীয় অঞ্চলে অন্যতম বড় রাজনৈতিক সংকট, ইয়েমেন সমস্যার বিষয়ে ভারত অবগত । স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ইয়েমেনের আত্মপ্রকাশ, জেরুজালেম সমস্যা এবং সিরিয়ায় রাজনৈতিক সংকটের বিষয়টি নিয়েও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে । পাকিস্তানের নাম সরাসরি উল্লেখ না করা হলেও, কোনও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে অন্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলে যৌথ বিবৃতিতে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে ।

2020 সালের নভেম্বরে সৌদি আয়োজিত জি 20 সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । 2022 সালের জি 20 আয়োজক ভারত । জি 20 নিয়ে উভয় রাষ্ট্র তাদের মত বিনিময় করেছে । 2020 সালের 21 সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের 75 তম বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের ব্লু-প্রিন্ট নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেন । এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্তব্য, " রাষ্ট্রসংঘ নিছক একটি সংগঠন নয়, একই সঙ্গে এটি ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি ক্ষেত্রও ।"

অশোক মুখোপাধ্যায়, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 28-29 অক্টোবর, 2019 সালে সৌদি আরব সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে শক্তি এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । সৌদিতে বসবাস করেন বিপুল পরিমাণ ভারতীয়, সংখ্যাটা প্রায় 2.6 মিলিয়ন, যারা সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন । প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা নেবে । এই সফর উপসাগরীয় অঞ্চলে যৌথভাবে কাজ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ।

তবে, এই সফরের সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিকটা হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন বিন আবদুলআজিজ আল-সৌদি যেভাবে নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন, সেটা । 2010 সালের মার্চে রিয়াধ ঘোষণাপত্র অনুসারে ভারত-সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । দু'দেশের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে এই সফর অত্যন্ত কার্যকর । শুধু আদানপ্রদান নয়, প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ । দুই দেশের বিদেশ ও বাণিজ্য মন্ত্রকের দুটি সমান্তরাল কাউন্সিলও তৈরির কথা চূড়ান্ত হয়েছে ।

শক্তি এবং বিনিয়োগের মজবুত ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই কাউন্সিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ । ভারত, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অ্যামেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে সৌদি আরবের বিশেষ কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ।

ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের ব্যক্তিগত ক্যারিশমার কথা বলতেই হবে । অক্টোবর 2019 সালের প্রথমে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত ডোভালের সৌদি আবর সফর মোদির এই সফরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল ।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ দমন-এই দুটি ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়াই এই কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অন্যতম উদ্দেশ্য ।

ভারত মহাসাগরীয় এবং উপসাগরীয় এলাকায় সামুদ্রিক নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করার বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দুই দেশই যে অঙ্গীকারবদ্ধ, তা যৌথ বিবৃতিতে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে । ভারত-সৌদি আরব যৌথ নৌ-মহড়া অনুষ্ঠিত হবে 2020 সালের জানুয়ারিতে । ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যৌথভাবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে একসঙ্গে দুই দেশ কাজ করবে ।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, এ ক্ষেত্রে তথ্য আদানপ্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া হবে । সৌদি সাহায্যপ্রাপ্ত রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস দমন সেন্টারের উন্নয়নে দুই দেশ একত্রে কাজ করবে । 2011 সালে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ দমনে এই সংস্থাটি তৈরি করা হয়েছিল । 2 এপ্রিল 2012 সাল থেকে ভারত 22 সদস্য রাষ্ট্রের UNCTC-এর সদস্য হয় ।

উপসাগরীয় অঞ্চলে অন্যতম বড় রাজনৈতিক সংকট, ইয়েমেন সমস্যার বিষয়ে ভারত অবগত । স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ইয়েমেনের আত্মপ্রকাশ, জেরুজালেম সমস্যা এবং সিরিয়ায় রাজনৈতিক সংকটের বিষয়টি নিয়েও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে । পাকিস্তানের নাম সরাসরি উল্লেখ না করা হলেও, কোনও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে অন্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলে যৌথ বিবৃতিতে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে ।

2020 সালের নভেম্বরে সৌদি আয়োজিত জি 20 সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । 2022 সালের জি 20 আয়োজক ভারত । জি 20 নিয়ে উভয় রাষ্ট্র তাদের মত বিনিময় করেছে । 2020 সালের 21 সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের 75 তম বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের ব্লু-প্রিন্ট নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেন । এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্তব্য, " রাষ্ট্রসংঘ নিছক একটি সংগঠন নয়, একই সঙ্গে এটি ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি ক্ষেত্রও ।"

অশোক মুখোপাধ্যায়, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত

Hyderabad, Nov 02 (ANI): Sports can be a stress buster and Hyderabad people have found one to release their stress. To combat the stress, a multi-sport cum stress buster center has been opened for children to office goers here. One of the employees said that this is a small way of de-stressing and building fresh environment who work in a highly stressful environment.
Last Updated : Nov 2, 2019, 2:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.