নয়াদিল্লি, 24 জানুয়ারি: ফের একবার আলোচনার টেবিলে বসল ভারত ও চিন৷ রবিবার সকালে নবম দফায় বৈঠক করেন দু‘দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার পদমর্যাদার আধিকারিকরা৷ গালওয়ান উপত্য়কায় সংঘর্ষের পর থেকেই সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না দুই পড়শির৷ সেই মেঘ কাটাতেই এদিন আলোচনায় বসে দুই পক্ষ৷ বৈঠকটি হয় ভারতের চুসুল সেক্টরের ঠিক বিপরীতে মোল্ডোতে৷ লাদাখ সমস্য়া মেটাতে আলোচনা হয় দুই দেশের সামরিক প্রতিনিধিদের মধ্য়ে৷
এর আগে মোট আটদফা আলোচনা হয়েছে ভারতীয় ও চিনা সেনাবাহিনীর৷ শেষবার ভারতের জোরালো দাবি ছিল, যত দ্রুত সম্ভব পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত অংশগুলি থেকে পিছু হঠতে হবে লাল ফৌজকে৷
গত প্রায় ন‘মাস ধরে লাদাখে পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী৷ যা ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়৷ এই মুহূর্তে পূর্ব লাদাখের পার্বত্য় এলাকায় প্রায় 50 হাজার ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে৷ যেকোনও সময়েই যুদ্ধ শুরুর জন্য় প্রস্তুত রয়েছেন বাহিনীর সদস্য়রা৷ পাশাপাশি, সমস্য়া মেটাতে দু‘পক্ষের মধ্য়ে লাগাতার আলোচনাও চলছে৷
অন্য়দিকে, সমপরিমাণ সেনা মোতায়েন করেছে বেজিংও৷
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইতিমধ্য়েই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না চিনা বাহিনী পিছু হঠার প্রক্রিয়া শুরু করছে, ততক্ষণ ভারতীয় সেনারাও একচুল জমি ছাড়বেন না৷ যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর আশা, আলোচনার মাধ্য়মেই এই টানাপোড়েন মিটে যাবে৷ তিনি জানান, সীমান্ত এলাকাগুলিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে ভারত৷ আর সেখানেই আপত্তি রয়েছে চিনের৷ যার জেরে বাড়ছে অশান্তিও৷ যা মেটার ব্য়াপারে রাজনাথ আশাবাদী হলেও, ঠিক কবে তা সম্ভবপর হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তাঁরও৷