ETV Bharat / international

Hiroshima Day : বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই’র - Kazumi Matsui

আজ হিরোশিমা দিবসে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলিকে পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানালেন শহরের মেয়র কাজুমি মাতসুই ৷ আজ হিরোশিমা দিবসের 76তম বছর পূর্ণ হল ৷ এই দিনটিতে বিশ্ব শান্তি এবং সুস্থ মানব সমাজ গড়ে তুলতে আবেদন করেছেন তিনি ৷

hiroshima-marks-76th-anniversary-of-us-atomic-bombing
হিরোশিমা দিবসে বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করার আহবান হিরোশিমা’র মেয়রের
author img

By

Published : Aug 6, 2021, 3:59 PM IST

টোকিয়ো, 6 অগস্ট : আজ 6 অগস্ট হিরোশিমায় (Hiroshima day) পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের 76তম বছর পূর্ণ হল ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তি জাপান (Japan)-এর হিরোশিমা শহরে পরমাণু হামলা হয়েছিল ৷ আজকের দিনেই বিশ্ব ইতিহাসে প্রথমবার কোনও দেশের উপর পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল ৷ আর সেই ভয়াবহ স্মৃতি যাতে আর ফিরে না আসে, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির কাছে সেই আবেদনই করলেন হিরোশিমার মেয়র ৷ যেভাবে করোনা অতিমারিকে উপড়ে ফেলতে গোটা বিশ্ব এক হয়ে লড়াই করছে ৷ ঠিক একইভাবে পরমাণু অস্ত্রকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে নির্মূল করে দিতে বিশ্বের আণবিক শক্তিধর দেশগুলিকে এক হতে আহ্বান জানালেন হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই (Kazumi Matsui)৷

হিরোশিমার মেয়র বলেন, ‘‘করোনা অতিমারি যেমন মানবতার জন্য বিপজ্জনক ৷ তেমনি পরমাণু অস্ত্রও মানবতার শত্রু ৷ তাই বিশ্বের সব শক্তিধর দেশগুলিকে এই পরমাণু অস্ত্রকে বিনাশ করার জন্য একজোট হতে হবে ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল যুদ্ধ জয়ের জন্য ৷ যা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে ৷ যদি সব দেশ একসঙ্গে কাজ করে,তবে আমরা এটিকে নিঃশেষ করে দিতে পারি ৷ নির্বিচারে হত্যার জন্য সর্বদা প্রস্তুত, এমন অস্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে কোনও সুস্থ এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব নয় ৷’’

1945 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির তরফে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার হিরোশিমার উপর পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ৷ পুরো শহরকে ধ্বংস করার পাশাপাশি 1 লক্ষ 40 হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল ৷ যার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা ফেলা হয় ঠিক তিনদিন পর 9 অগস্ট নাগাসাকি শহরে ৷ যেখানে 70 হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছিল ৷ শুধু প্রাণ যাওয়া নয় ৷ এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হয়েছে ৷ পরবর্তী প্রজন্মের বহু মানুষ ওই দুই শহরে পঙ্গু হয়ে জন্ম নিয়েছিল ৷ 15 অগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ৷ সেই সঙ্গে এশিয়া মহাদেশে প্রায় অর্ধশতক ধরে চলা হিংসার অবসান ঘটেছিল ৷

আরও পড়ুন : 2028 সালের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র টানেল তৈরি হলে, ভারতের পরমাণু রেঞ্জের আওতায় চলে আসবে চিন

কিন্তু, আজও বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে ঠান্ডাযুদ্ধ চলে আসছে ৷ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছে ৷ পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত বিশ্বচুক্তি বহু বছরের চেষ্টার পর গত জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়েছে ৷ আর তার পিছনে অবদান রয়েছে পরমাণু হামলার প্রভাব থেকে যাঁরা বেঁচে ফিরেছেন, তাঁদের ৷ আর পঞ্চাশের বেশি দেশ এটিকে অনুমোদন দিয়েছে ৷ তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য পরমাণু শক্তিধর দেশ একে মান্যতা দেয়নি ৷ এমনকি জাপান সরকারও এতে এখনও সম্মতি দেয়নি ৷ কারণ তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন পরমাণু ছাতার তলায় রয়েছে ৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী পরমাণু হামলার 76 বছর উপলক্ষ্যে আজকে হিরোশিমায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৷ যেখানে তিনি এই পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত বিশ্বচুক্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ৷

টোকিয়ো, 6 অগস্ট : আজ 6 অগস্ট হিরোশিমায় (Hiroshima day) পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের 76তম বছর পূর্ণ হল ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তি জাপান (Japan)-এর হিরোশিমা শহরে পরমাণু হামলা হয়েছিল ৷ আজকের দিনেই বিশ্ব ইতিহাসে প্রথমবার কোনও দেশের উপর পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল ৷ আর সেই ভয়াবহ স্মৃতি যাতে আর ফিরে না আসে, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির কাছে সেই আবেদনই করলেন হিরোশিমার মেয়র ৷ যেভাবে করোনা অতিমারিকে উপড়ে ফেলতে গোটা বিশ্ব এক হয়ে লড়াই করছে ৷ ঠিক একইভাবে পরমাণু অস্ত্রকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে নির্মূল করে দিতে বিশ্বের আণবিক শক্তিধর দেশগুলিকে এক হতে আহ্বান জানালেন হিরোশিমার মেয়র কাজুমি মাতসুই (Kazumi Matsui)৷

হিরোশিমার মেয়র বলেন, ‘‘করোনা অতিমারি যেমন মানবতার জন্য বিপজ্জনক ৷ তেমনি পরমাণু অস্ত্রও মানবতার শত্রু ৷ তাই বিশ্বের সব শক্তিধর দেশগুলিকে এই পরমাণু অস্ত্রকে বিনাশ করার জন্য একজোট হতে হবে ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল যুদ্ধ জয়ের জন্য ৷ যা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে ৷ যদি সব দেশ একসঙ্গে কাজ করে,তবে আমরা এটিকে নিঃশেষ করে দিতে পারি ৷ নির্বিচারে হত্যার জন্য সর্বদা প্রস্তুত, এমন অস্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে কোনও সুস্থ এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব নয় ৷’’

1945 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির তরফে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার হিরোশিমার উপর পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ৷ পুরো শহরকে ধ্বংস করার পাশাপাশি 1 লক্ষ 40 হাজার মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল ৷ যার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা ফেলা হয় ঠিক তিনদিন পর 9 অগস্ট নাগাসাকি শহরে ৷ যেখানে 70 হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছিল ৷ শুধু প্রাণ যাওয়া নয় ৷ এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হয়েছে ৷ পরবর্তী প্রজন্মের বহু মানুষ ওই দুই শহরে পঙ্গু হয়ে জন্ম নিয়েছিল ৷ 15 অগস্ট জাপান আত্মসমর্পণ করার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ৷ সেই সঙ্গে এশিয়া মহাদেশে প্রায় অর্ধশতক ধরে চলা হিংসার অবসান ঘটেছিল ৷

আরও পড়ুন : 2028 সালের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র টানেল তৈরি হলে, ভারতের পরমাণু রেঞ্জের আওতায় চলে আসবে চিন

কিন্তু, আজও বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে ঠান্ডাযুদ্ধ চলে আসছে ৷ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছে ৷ পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত বিশ্বচুক্তি বহু বছরের চেষ্টার পর গত জানুয়ারি মাসে কার্যকর হয়েছে ৷ আর তার পিছনে অবদান রয়েছে পরমাণু হামলার প্রভাব থেকে যাঁরা বেঁচে ফিরেছেন, তাঁদের ৷ আর পঞ্চাশের বেশি দেশ এটিকে অনুমোদন দিয়েছে ৷ তবে, উল্লেখযোগ্যভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য পরমাণু শক্তিধর দেশ একে মান্যতা দেয়নি ৷ এমনকি জাপান সরকারও এতে এখনও সম্মতি দেয়নি ৷ কারণ তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে মার্কিন পরমাণু ছাতার তলায় রয়েছে ৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী পরমাণু হামলার 76 বছর উপলক্ষ্যে আজকে হিরোশিমায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৷ যেখানে তিনি এই পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত বিশ্বচুক্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.