পাকিস্তান, 22 এপ্রিল : অন্ততপক্ষে চারজন মারা গিয়েছেন, বারো জন জখম হয়েছেন একটি বোমা বিস্ফোরণে পাকিস্তানের একটি হোটেলের গাড়ি পার্কিং করার জায়গায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বালুচিস্তানে ৷
বালুচিস্তানের রাজধানী কেটার একটি বিলাসবহুল হোটেল সেরেনাতে চিনের অ্যাম্বাসাডর-সহ চারজন প্রতিনিধি থাকছিলেন ৷
পাকিস্তানের মন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ বলেন, "কমপক্ষে চারজন মারা গিয়েছেন ৷ আর বারো জন আহত হয়েছেন ৷ এটা জঙ্গিদের কাজ ৷ চিনের অ্যাম্বাসাডরের নেতৃত্বে চারজন প্রতিনিধি এই হোটেলে থাকছিলেন ৷" তবে অ্যাম্বাসাডর একটি বৈঠকের কাজে বাইরে ছিলেন ৷ তাই তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বলে জানান তিনি ৷
খনিজ সম্পদ আর গ্যাসের সম্পদে পরিপূর্ণ হলেও বালুচিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ৷ এই অঞ্চলের বাসিন্দারা এই প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের সুবিধে থেকে বঞ্চিত ৷ চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি)-এর চুক্তির মূল "বেল্ট আর রোড ইনিশিয়েটিভ"-এর মাধ্যমে এই অঞ্চলে চিন সরকার বিনিয়োগ করলেও চাকরি পাচ্ছে বাইরে থেকে আসা লোকজন ৷ স্বাভাবিক ভাবেই এটা স্থানীয়দের ক্ষোভের অন্যতম কারণ ৷
আরও পড়ুন: সুপার পাওয়ার হলেও জলবায়ু সঙ্কট সামলাতে 40টি দেশের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বেজিং
শহরের এক উচ্চ পুলিশ আধিকারিক আজহার ইকরাম বলেন, "প্রাথমিক তদন্ত অনুমান গাড়িগুলির মধ্যে একটিতে আইইডি রাখা ছিল ৷"
কোনও জঙ্গি দলই এখনও এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি ৷ সামরিক বাহিনীকে এক দশক ধরে এই অঞ্চলে এরকম ছোটখাটো বিক্ষোভ সামলাতে হচ্ছে ৷
2019-এ সিপিইসি প্রজেক্টের পতাকা দেখে একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী ৷ তখন আট জন মারা গিয়েছিলেন ৷ এর পর জুন মাসে পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জেও একই হামলার ঘটনা ঘটে ৷ স্টক এক্সচেঞ্জেও চিনের কোম্পানিগুলির অংশীদারি ব্যবসা রয়েছে ৷ এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি ৷
লাহোরের পূর্বে ঘাঁটি রয়েছে চরমপন্থী দলগুলির ৷ সম্প্রতি সেখানে ফ্রান্স-বিরোধী বিক্ষোভ হওয়ার পরই এই জঙ্গি আক্রমণ ৷