ওয়াশিংটন, 10 ফেব্রুয়ারি : শাসনকালের শেষ লগ্নে এসে ভারতের বাতাসে দূষণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন অ্যামেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ তাতে প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কি আলগা হচ্ছে ভারত-অ্যামেরিকার বন্ধুত্ব ? সেই আশঙ্কা দূর করতে বদ্ধ পরিকর বাইডেন প্রশাসন ৷ জো বাইডেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পরই ওয়াশিংটন বুঝিয়ে দিয়েছে, দিল্লিকে পাশে নিয়েই চলতে চায় তারা ৷ মঙ্গলবারই বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৷ একই দিনে ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন প্রশাসন ৷ ভারতকে অন্যতম প্রধান বিশ্বশক্তির তকমা দিয়েছে অ্যামেরিকা ৷
মঙ্গলবার অ্যামেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘‘ইন্দো-প্য়াসিফিক অঞ্চলে অ্যামেরিকার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের মধ্যে একজন হল ভারত ৷ যেভাবে তারা বিশ্বের অন্যতম প্রধান শক্তি হিসাবে উঠে আসছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ৷ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে নিরাপত্তারক্ষায় ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য৷’’
মঙ্গলবার সকালেই অ্যামেরিকার স্টেট সচিব টোনি ব্লিংকেনের সঙ্গে কথা হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের৷ দিন পনেরোর মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কথা হল তাঁদের দু’জনের মধ্যে ৷ সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও পোক্ত করাই ছিল তাঁদের আলোচনার অন্য়তম বিষয়বস্তু ৷ এছাড়া, মায়ানমার পরিস্থিতি-সহ একাধিক ইশু নিয়েও কথা হয়েছে জয়শংকর ও ব্লিংকেনের মধ্যে৷
আরও পড়ুন: প্রথম মোদি-বাইডেন কথা, "যৌথ অগ্রাধিকারে" জোর
সূত্রের খবর, মায়ানমারে ফের একবার সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব৷ পাশাপাশি, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্য়ে ইন্দো-প্য়াসিফিক অঞ্চলে ভারত ও অ্যামেরিকার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র প্রাইস৷ কোরোনা মোকাবিলা এবং বিশ্বব্য়াপী জলবায়ুর ভোলবদল নিয়েও কথা বলেছেন জয়শংকর ও ব্লিংকেন ৷