ETV Bharat / international

বেজিংয়ে কোরোনা পরিস্থিতি "অত্যন্ত মারাত্মক"

চিনে গত কয়েকদিনে ফের সংক্রমণ ছড়িয়েছে কোরোনা ভাইরাস ৷ আজ চিনের বেজিংয়ে নতুন করে কোরোনা সংক্রমণ হয়েছে 27 জনের ৷ গত 5 দিনে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা 106 ৷

author img

By

Published : Jun 17, 2020, 6:54 AM IST

beijing-coronavirus-situation-extremely-severe-warns-official
চিনে কোরোনা ভাইরাসের পুনরুত্থান ' অত্যন্ত মারাত্মক '

বেজিং, 16 জুন : চিনে ফের কোরোনা সংক্রমণ ৷ এর আগে চিনেই প্রথম ছড়িয়ে পড়ে কোরোনা ভাইরাস ৷ এরপর তা পরিণত হয় প্যানডেমিকে ৷ ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে ৷ গত 2 মাসে নতুন করে কোনও কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি ৷ কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে চিনে ফের ধরা পড়ছে কোরোনা সংক্রমণ ৷

চিনের বেজিং থেকে এবার ধরা পড়ল 27 টি নতুন কোরোনা সংক্রমণ ৷ গতকাল চিনে 8 জনের কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৷ বেজিংয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছে, চিনের রাজধানীর পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক ৷ সেখানে ধীরে ধীরে বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ ৷ বাড়ছে সংক্রমণ ট্র্য়াক করা ও পরীক্ষা পদ্ধতি ৷

কোরোনা সংক্রমণের পুনরুত্থান -

মনে করা হচ্ছে , চিনের বেজিংয়ে শিনফাদি নামের পাইকারি খাবারের মার্কেট থেকেই ফের এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৷ গতবছরের শেষদিকে চিনে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায় ৷ এরপর গোটা দেশের মানুষের কোরোনা পরীক্ষা ও লকডাউন করে কোরোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনে চিন ৷

গত 5 দিনে বেজিংয়ে নতুন করে কোরোনায় আক্রান্ত হন মোট 106 জন ৷ এরপরই চিন কর্তৃপক্ষ শহরের প্রায় 30 টি কমিউনিটিতে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে ৷ প্রায় 10 হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৷ বেজিং শহরের মুখপাত্র সু হেজিয়ান একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, " বর্তমানে রাজধানীতে কোরোনা এপিডেমিক পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক ৷ "

ইতিমধ্যেই বেজিংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ বেজিং শহরের আকার ও গণযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ৷ যদিও চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর , চিনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বর্তমানে কোরোনা পরীক্ষার ক্ষমতা প্রতিদিনে 90 হাজার ৷ একারণে খাবারের মার্কেট, রেস্তরাঁ, সরকারি ক্যান্টিন সমস্ত জায়গার মালিক ও কর্মচারীদের অতি দ্রুত কোরোনা পরীক্ষা শুরু করবে সরকারি আধিকারিকরা ৷

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কোরোনার এই পুনরুত্থান রুখতে রাজধানীতে ট্যাক্সি ও অন্যান্য গণপরিবহন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে ৷ গতকাল থেকে সমস্ত ইন্ডোর স্পোর্টস ও বিনোদনের জায়গাগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে ৷ এছাড়াও অন্য শহরগুলিতেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ যারা রাজধানী থেকে ফিরেছেন , তাঁরা যেন কোয়ারানটিনে থাকেন ৷

চিনের জাতীয় হেলথ কমিশন গতকাল একটি রিপোর্ট বের করে ৷ রিপোর্টে বলা হয়, বেজিংয়ের পাশেই হেবেই প্রদেশ থেকে 3 জন ও উত্তর-পশ্চিমের সিচুয়ান থেকে 1 জন আক্রান্ত হয়েছে ৷ চিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেজিং থেকে যারা চিনের অন্য জায়গায় গেছে ও যারা সদ্য এসেছে তাদের ট্যাক করার চেষ্টা চলছে ৷ তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ বেজিং মুখপাত্র সু বলেন, " বেজিং থেকে অন্যান্য জায়গায় যাওয়া ব্যক্তিদের কোরোনা সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি ৷ তাই তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ৷ "

এছাড়াও বেজিংয়ের ওই শিনফাদি মার্কেটের সামনে 7 টি রেসিডেন্সিয়াল এস্টেট পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে ৷ বেজিং কর্তৃপক্ষ 276 টি এগ্রিকালচারাল মার্কেটকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করেছে ৷ বন্ধ করা হয়েছে 11 টি মার্কেট ৷ প্রায় 33 হাজারেরও বেশি খাবার ও বেভারেজকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে ৷

কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর. 30 মে ওই শিনফাদি মার্কেটে মোট 3 কোটি 2 লাখ মানুষ গেছিলেন ৷ ওই মার্কেটের প্রায় 8 হাজারেরও বেশি কর্মচারিদের কোরোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, তাদের পাঠানো হয়েছে সেন্ট্রালাইজ়ড কোয়ারানটিনে ৷

একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এপিডেমিওলজিস্ট উ জ়ুইইউ বলেন, " ওই ভাইরাস প্রথম চিহ্নিত করা হয় স্যালমন কাটার জন্য ব্যবহৃত চপিং বোর্ডে ৷ তবে , ওই সিফুড থেকেই এই ভাইরাস আবার ছড়িয়েছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয় ৷ " তিনি আরও বলেন, " গত দু'মাসে দেশে কোনও কোরোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি ৷ দু'মাস পর পুনরায় এই সংক্রমণের কারণ আমরা খতিয়ে দেখছি ৷ মনে করা হচ্ছে, এই ভাইরাস চিনের বাইরে থেকে এসেছে ৷ না হলে চিনের অন্য কোনও শহর থেকে রাজধানীতে এসেছে ৷ "

বেজিং, 16 জুন : চিনে ফের কোরোনা সংক্রমণ ৷ এর আগে চিনেই প্রথম ছড়িয়ে পড়ে কোরোনা ভাইরাস ৷ এরপর তা পরিণত হয় প্যানডেমিকে ৷ ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে ৷ গত 2 মাসে নতুন করে কোনও কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি ৷ কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে চিনে ফের ধরা পড়ছে কোরোনা সংক্রমণ ৷

চিনের বেজিং থেকে এবার ধরা পড়ল 27 টি নতুন কোরোনা সংক্রমণ ৷ গতকাল চিনে 8 জনের কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৷ বেজিংয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছে, চিনের রাজধানীর পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক ৷ সেখানে ধীরে ধীরে বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ ৷ বাড়ছে সংক্রমণ ট্র্য়াক করা ও পরীক্ষা পদ্ধতি ৷

কোরোনা সংক্রমণের পুনরুত্থান -

মনে করা হচ্ছে , চিনের বেজিংয়ে শিনফাদি নামের পাইকারি খাবারের মার্কেট থেকেই ফের এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৷ গতবছরের শেষদিকে চিনে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায় ৷ এরপর গোটা দেশের মানুষের কোরোনা পরীক্ষা ও লকডাউন করে কোরোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনে চিন ৷

গত 5 দিনে বেজিংয়ে নতুন করে কোরোনায় আক্রান্ত হন মোট 106 জন ৷ এরপরই চিন কর্তৃপক্ষ শহরের প্রায় 30 টি কমিউনিটিতে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে ৷ প্রায় 10 হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৷ বেজিং শহরের মুখপাত্র সু হেজিয়ান একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, " বর্তমানে রাজধানীতে কোরোনা এপিডেমিক পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক ৷ "

ইতিমধ্যেই বেজিংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৷ বেজিং শহরের আকার ও গণযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ৷ যদিও চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর , চিনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বর্তমানে কোরোনা পরীক্ষার ক্ষমতা প্রতিদিনে 90 হাজার ৷ একারণে খাবারের মার্কেট, রেস্তরাঁ, সরকারি ক্যান্টিন সমস্ত জায়গার মালিক ও কর্মচারীদের অতি দ্রুত কোরোনা পরীক্ষা শুরু করবে সরকারি আধিকারিকরা ৷

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কোরোনার এই পুনরুত্থান রুখতে রাজধানীতে ট্যাক্সি ও অন্যান্য গণপরিবহন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে ৷ গতকাল থেকে সমস্ত ইন্ডোর স্পোর্টস ও বিনোদনের জায়গাগুলিকে বন্ধ করা হয়েছে ৷ এছাড়াও অন্য শহরগুলিতেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ যারা রাজধানী থেকে ফিরেছেন , তাঁরা যেন কোয়ারানটিনে থাকেন ৷

চিনের জাতীয় হেলথ কমিশন গতকাল একটি রিপোর্ট বের করে ৷ রিপোর্টে বলা হয়, বেজিংয়ের পাশেই হেবেই প্রদেশ থেকে 3 জন ও উত্তর-পশ্চিমের সিচুয়ান থেকে 1 জন আক্রান্ত হয়েছে ৷ চিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেজিং থেকে যারা চিনের অন্য জায়গায় গেছে ও যারা সদ্য এসেছে তাদের ট্যাক করার চেষ্টা চলছে ৷ তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ বেজিং মুখপাত্র সু বলেন, " বেজিং থেকে অন্যান্য জায়গায় যাওয়া ব্যক্তিদের কোরোনা সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি ৷ তাই তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত ৷ "

এছাড়াও বেজিংয়ের ওই শিনফাদি মার্কেটের সামনে 7 টি রেসিডেন্সিয়াল এস্টেট পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে ৷ বেজিং কর্তৃপক্ষ 276 টি এগ্রিকালচারাল মার্কেটকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করেছে ৷ বন্ধ করা হয়েছে 11 টি মার্কেট ৷ প্রায় 33 হাজারেরও বেশি খাবার ও বেভারেজকে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে ৷

কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর. 30 মে ওই শিনফাদি মার্কেটে মোট 3 কোটি 2 লাখ মানুষ গেছিলেন ৷ ওই মার্কেটের প্রায় 8 হাজারেরও বেশি কর্মচারিদের কোরোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, তাদের পাঠানো হয়েছে সেন্ট্রালাইজ়ড কোয়ারানটিনে ৷

একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এপিডেমিওলজিস্ট উ জ়ুইইউ বলেন, " ওই ভাইরাস প্রথম চিহ্নিত করা হয় স্যালমন কাটার জন্য ব্যবহৃত চপিং বোর্ডে ৷ তবে , ওই সিফুড থেকেই এই ভাইরাস আবার ছড়িয়েছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয় ৷ " তিনি আরও বলেন, " গত দু'মাসে দেশে কোনও কোরোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি ৷ দু'মাস পর পুনরায় এই সংক্রমণের কারণ আমরা খতিয়ে দেখছি ৷ মনে করা হচ্ছে, এই ভাইরাস চিনের বাইরে থেকে এসেছে ৷ না হলে চিনের অন্য কোনও শহর থেকে রাজধানীতে এসেছে ৷ "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.