ETV Bharat / international

চাপের মুখে দেশের বাইরে থাকা অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের জন্য ছাড় ঘোষণা মরিসনের

author img

By

Published : May 4, 2021, 3:14 PM IST

ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া যাতায়াতের ক্ষেত্রে শুধু নিষেধাজ্ঞাই নয়, ঘোষণা হয়েছিল হাজতবাসেরও ৷ এই সিদ্ধান্তে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে মরিসন সরকার ৷ দেশের বাইরে থাকা অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের জন্য এই হাজতবাস বা জরিমানা লাগু করা হবে না, জানালেন তিনি ৷

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন

সিডনি, 4 মে: অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ও হাজতবাসের ঘোষণা করেছিলেন ৷ মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠার কথা জানান তিনি ৷ এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ আনে অস্ট্রেলীয়বাসীরা, বলা হয় রক্তাক্ত হয়েছে তাঁর হাত ৷

15 পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া গেলে জেলে যেতে হবে, এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়বাসীর জন্যেও ৷ স্বভাবতই ক্ষেপে যায় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা ৷ প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী জানাতে বাধ্য হন যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা "খুবই কম" ৷

প্রায় 9000 অস্ট্রেলিয়বাসী রয়েছে ভারতে, যেখানে প্রতিদিন নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কয়েকশো থেকে হাজারে পৌঁছেছে ৷ ভারতে আইপিএল খেলতে আসা বেশ কিছু নামী অস্ট্রেলিয়ান খেলেয়াড়রাও আটকে পড়েছেন এর ফলে ৷

কমেন্টেটর আর প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার মাইকেল স্ল্যাটার মরিসনের এই ঘোষণাকে "অপমানজনক" ৷ টুইটে জানিয়েছেন, "প্রধানমন্ত্রী আপনার হাত রক্তাক্ত ৷ আমাদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করার সাহস পান কী করে আপনি? যদি আমাদের সরকার অস্ট্রেলিয়দের নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করতেন, তাহলে আমাদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হত৷"

যদিও মরিসন রক্তাক্ত হাত-কে "অর্থহীন" বলেছেন ৷ তাঁর এই সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তি, "অস্ট্রেলিয়াকে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচাতেই আমার এই সিদ্ধান্ত ৷ আমি তাদের নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে আনব ৷" ইঙ্গিত দিয়েছেন 15 মে-র পর বিমান পরিষেবা চালু হতে পারে ৷

আরো পড়ুন: মেক্সিকোয় ভয়াবহ মেট্রো দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত 20

মরিসনের নিষেধাজ্ঞা আর হাজতবাসের নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল সোমবার থেকে ৷ কিন্তু বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন আর মরিসনের খুব কাছের স্কাই নিউজের ভাষ্যকার অ্যান্ড্রিউ বোল্ট এই ঘোষণাকে "বর্ণবৈষম্যের দুর্গন্ধে ভরপুর" বলে কড়া সমালোচনা করেন ৷ তারপরই মরিসন তাঁর এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার কথা জানায় ৷

খুব কড়া হাতে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ৷ দেশের সীমানায় কঠিন পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া বিশ্বের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া ৷ অস্ট্রেলিয়া ছাড়া ভিনদেশি নাগরিকদের জন্য দেশে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৷ আর কেউ এলেও তাঁকে আগে 14 দিন কোনো হোটেলে কোয়ারান্টিনে থাকা আবশ্যিক ছিল ৷

ভ্যাকসিন না-পাওয়া গোষ্ঠীর থেকে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে দ্রুত ৷ তাই এই ব্যবস্থাও এবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷

আগামী 12 মাসের মধ্যে পুনর্নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ৷ আর প্যানডেমিকের সময় অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতি ভালো ভাবেই সামলেছেন তিনি, তাই ফের জয়ী হবেন তিনি ৷

তবে ভারতে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আর ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় গতি না আনা নিয়ে দেশবাসীর কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি ৷

এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার দু'কোটি পঞ্চাশ লক্ষ নাগরিকের মধ্যে মাত্র 22 লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৷ আর যাঁরা ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাঁদের এখনো দু'টি ডোজ সম্পূর্ণ হওয়া বাকি রয়েছে ৷

সিডনি, 4 মে: অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ও হাজতবাসের ঘোষণা করেছিলেন ৷ মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠার কথা জানান তিনি ৷ এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ আনে অস্ট্রেলীয়বাসীরা, বলা হয় রক্তাক্ত হয়েছে তাঁর হাত ৷

15 পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া গেলে জেলে যেতে হবে, এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়বাসীর জন্যেও ৷ স্বভাবতই ক্ষেপে যায় অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা ৷ প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী জানাতে বাধ্য হন যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা "খুবই কম" ৷

প্রায় 9000 অস্ট্রেলিয়বাসী রয়েছে ভারতে, যেখানে প্রতিদিন নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কয়েকশো থেকে হাজারে পৌঁছেছে ৷ ভারতে আইপিএল খেলতে আসা বেশ কিছু নামী অস্ট্রেলিয়ান খেলেয়াড়রাও আটকে পড়েছেন এর ফলে ৷

কমেন্টেটর আর প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার মাইকেল স্ল্যাটার মরিসনের এই ঘোষণাকে "অপমানজনক" ৷ টুইটে জানিয়েছেন, "প্রধানমন্ত্রী আপনার হাত রক্তাক্ত ৷ আমাদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করার সাহস পান কী করে আপনি? যদি আমাদের সরকার অস্ট্রেলিয়দের নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করতেন, তাহলে আমাদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হত৷"

যদিও মরিসন রক্তাক্ত হাত-কে "অর্থহীন" বলেছেন ৷ তাঁর এই সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তি, "অস্ট্রেলিয়াকে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচাতেই আমার এই সিদ্ধান্ত ৷ আমি তাদের নিরাপদে বাড়ি ফিরিয়ে আনব ৷" ইঙ্গিত দিয়েছেন 15 মে-র পর বিমান পরিষেবা চালু হতে পারে ৷

আরো পড়ুন: মেক্সিকোয় ভয়াবহ মেট্রো দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত 20

মরিসনের নিষেধাজ্ঞা আর হাজতবাসের নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল সোমবার থেকে ৷ কিন্তু বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন আর মরিসনের খুব কাছের স্কাই নিউজের ভাষ্যকার অ্যান্ড্রিউ বোল্ট এই ঘোষণাকে "বর্ণবৈষম্যের দুর্গন্ধে ভরপুর" বলে কড়া সমালোচনা করেন ৷ তারপরই মরিসন তাঁর এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসার কথা জানায় ৷

খুব কড়া হাতে করোনা নিয়ন্ত্রণ করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ৷ দেশের সীমানায় কঠিন পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ কিছু বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া বিশ্বের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া ৷ অস্ট্রেলিয়া ছাড়া ভিনদেশি নাগরিকদের জন্য দেশে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৷ আর কেউ এলেও তাঁকে আগে 14 দিন কোনো হোটেলে কোয়ারান্টিনে থাকা আবশ্যিক ছিল ৷

ভ্যাকসিন না-পাওয়া গোষ্ঠীর থেকে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে দ্রুত ৷ তাই এই ব্যবস্থাও এবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷

আগামী 12 মাসের মধ্যে পুনর্নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ৷ আর প্যানডেমিকের সময় অন্যান্য দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার পরিস্থিতি ভালো ভাবেই সামলেছেন তিনি, তাই ফের জয়ী হবেন তিনি ৷

তবে ভারতে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আর ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় গতি না আনা নিয়ে দেশবাসীর কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি ৷

এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার দু'কোটি পঞ্চাশ লক্ষ নাগরিকের মধ্যে মাত্র 22 লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৷ আর যাঁরা ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাঁদের এখনো দু'টি ডোজ সম্পূর্ণ হওয়া বাকি রয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.