হিউস্টন (অ্যামেরিকা), 22 জুলাই : বাণিজ্য থেকে শুরু করে 5G নেটওয়ার্ক, সীমান্ত বিতর্ক ও কোরোনা নিয়ে চিনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক আগে থেকেই খারাপ ছিল ৷ আর এরই মাঝে 72 ঘণ্টার মধ্যে বেজিংকে হিউস্টনে চিনের দূতাবাস বন্ধ করার নির্দেশ দিল অ্যামেরিকা ৷ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতিসম্পন্ন দেশের মধ্যে যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে তাই প্রকট হচ্ছে অ্যামেরিকার এই নির্দেশে ৷
অ্যামেরিকার এই নির্দেশের পিছনে গতকালের একটি ঘটনাকে প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ৷ গতকাল হিউস্টনে চিনের দূতাবাসের ভিতর থেকে হঠাৎই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় ৷ যা স্থানীয়দের নজরে আসে ৷ তারা দমকলকে খবর দেয় ৷ ততক্ষণে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমও ঘটনাস্থানে পৌঁছে যায় ৷ ওই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয় ৷ যেখানে দেখা যায়, চিনের দূতাবাসের ভিতরেই পোড়ানো হচ্ছে বেশি কিছু নথি ৷ আর সেই আগুন নেভাতে দূতাবাসের ভিতের প্রবেশের চেষ্টা করছে হিউস্টন পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ৷ পরে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
হিউস্টনের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "কাগজ পোড়ার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল ৷ সমস্ত দমকল কর্মীরা দূতাবাসকে ঘিরে রেখেছিলেন ৷ কিন্তু, তাঁরা ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না ৷"
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই অ্যামেরিকার তরফে বেজিংকে হিউস্টনে ওই দূতাবাস শুক্রবার বিকেল 4 টের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ এই বিষয়কে কেন্দ্র করে চিনের বক্তব্য, অ্যামেরিকার এই সিদ্ধান্ত একতরফা ৷ তাই ট্রাম্পের প্রশাসন যদি এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রত্যাহার না করে তাহলে অ্যামেরিকার এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বেজিংও দৃঢ় পদক্ষেপ করবে ৷
প্রসঙ্গত, গতকালই অ্যামেরিকার বিচারবিভাগের তরফে কোরোনা ভাইরাসের গবেষণা সংক্রান্ত-সহ একাধিক তথ্য চুরি বা চুরির চেষ্টার অভিযোগে দুই চাইনিজ় হ্যাকারকে অভিযুক্ত করা হয় ৷ বলা হয়, তারা বেজিংয়ের জন্য এই কাজ করছিল ৷
এই বিষয়কে কেন্দ্র করে চিনের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, "অনুপ্রবেশ ও হস্তক্ষেপ করা চিনের বিদেশ নীতির জিন বা ঐতিহ্য নয় ৷ "