যাকে বলে একাই একশো ৷ এক গাছেই আস্ত অরণ্য ! তাও সম্ভব?
এমনিতে অসম্ভব ৷ কিন্তু, ব্রাজিলের পিরাঙ্গি কাজু পার্কের কাজু বাদামের গাছ হল জলজ্যান্ত বিস্ময় ৷ মহাপ্রকৃতির আশ্চর্য খেয়াল !
পেলের দেশের রিও গ্রানডে দো নরতে প্রদেশ ৷ সেখানকার রাজধানী নাতাল থেকে মিনিট 20 দক্ষিণে গেলেই মিলবে নীল সমুদ্র লাগোয়া পিরাঙ্গি সিবিচ ৷ সেই সিবিচের খুব কাছে বিরাট সবুজ পার্ক ৷ পোশাকি নাম পিরাঙ্গি কাজু পার্ক ৷ যা আসলে একটি মাত্র কাজু বাদামের গাছের বিরাট জঙ্গল ৷ বনস্পতির অরণ্যে প্রবেশ করেও বিশ্বাস হয় না পর্যটকের, একটা গাছ ! প্রমাণ সাইজের দুটি ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান পিরাঙ্গি কাজু পার্ক ৷ অঙ্কের হিসেবে 2 একর জমিজুড়ে ছড়ানো ৷ এবঙ্গ থেকে সেখানে কেউ গেলে প্রথম দেখায় ভাবতেই পারেন, গরুমারায় কী বক্সায় ঢুকে পড়েছেন ! দুই পাশে, জমিতে, আকাশে এমনভাবেই ছড়িয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাজু বাদামের গাছ যার কোনও তুলনা চলে না ৷
জীববিজ্ঞানীরা বলছেন, একই কাণ্ডে দু'রকম জিনগত চরিত্র রয়েছে অনন্য গাছটির ৷ সে কারণেই যখনই মাটি ছুঁয়েছে গাছের কোনও কাণ্ড, তখনই সেখান থেকে শিকড় নেমেছে ভূমিতলে ৷ নতুন গাছ হয়ে উঠেছে পুরোনো গাছ ৷ একঝলকে মনে হয়, যেন আলাদা এক গাছের বাড়বাড়ন্ত ৷
কেউ বলে এ গাছের হাজার বছর বয়স ৷ একটি মতে 1888 সালে রোপণ করা হয়ছিল গাছটিকে ৷ যদি তাই ধরা যায়, তবে 142 বছর ধরে ধীরে ধীরে একটি সাধারণ কাজু বাদামের গাছ অনবদ্য এক প্রাকৃতিক তথা জৈবিক উদাহরণ হয়ে উঠেছে ৷ সবচেয়ে বড় কথা, আজও ফলবতি পিরাঙ্গি বিচের বর্ষীয়ান বিস্ময়-বৃক্ষ ৷ প্রতি বছর বিরাট পরিমাণ কাজু ফলে পিরাঙ্গি কাজু পার্কে ৷
পার্ক ঘিরে গড়ে ওঠা বাজারটিও দেখার মতো ৷ যা আসলে মহীরুহ বাদামের গাছটিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ৷ যেখানে কেনকাটা করতে ট্যুরিস্ট আসবেই ৷ কারণ এখানেই মেলে মহাবৃক্ষের বাদাম দিয়ে তৈরি টক-মিষ্টি-নোনতা হাজার স্বাদের খাবার ৷ তবে, আপনি যদি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাজু বাদামের গাছের কাছে পৌঁছেই যান, তবে স্মৃতি হিসেবে আপনাকে আনতেই হবে কাজু ফ্লেভারের কাচাকা ৷ ফুটবলের দেশে জনপ্রিয় অ্যালকোহল ৷ এমনটাই রীতি ৷