নিউইয়র্ক, 9 মার্চ: সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত আমেরিকানরা অন্যান্য টিকা নেওয়া মানুষদের সঙ্গে ঘরের মধ্যে মাস্ক ছাড়া জমায়েত করতে পারবেন ৷ মানতে হবে না সামাজিক দূরত্ব বিধিও ৷ আমেরিকার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা নয়া নির্দেশিকায় এ কথা জানিয়েছেন ৷ একইরকম ভাবে টিকা নেওয়া ব্যক্তিরা ভাইরাস সংক্রমণের কম ঝুঁকি রয়েছে এমন মানুষদের সঙ্গে একইভাবে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব ছাড়া জমায়েত করতে পারবেন ৷ যেমন ধরা যাক, টিকা নেওয়ার পর নাতি-নাতনিদের সঙ্গে দেখা করলেন দাদু দিদা ৷
সোমবার সেন্টার্স ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সোমবার এ কথা ঘোষণা করেছে ৷ মানুষকে আরও বেশি টিকা গ্রহণের উত্সাহ জোগাতে এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার চাহিদা মেটাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সিডিসি-র অধিকর্তা ড. রচেল ওয়ালেনস্কি বলেছেন, "প্রতিদিন যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে, ততই ভাইরাসকে দূরে সরানো সম্ভব হবে ৷"
সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি ৷ সেখানে বলেন, স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ হল এই সিদ্ধান্ত ৷ সংক্রমণ ও মৃত্যু একবার কমতে শুরু করলে এবং টিকাকরণের সংখ্যা বাড়লে একে একে আরও অনেক কাজকর্ম শুরু করে দেওয়া হবে ৷ রচেল ওয়ালেনস্কির কথায়, "আমি আশা করি এই নয়া নির্দেশিকা প্রত্যেকের টিকাকরণের উত্সাহকে আরও বাড়িয়ে দেবে ৷"
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরলেই রাস্তায় ঝাড়ু দিতে হবে
তবে টিকার সম্পূর্ণ ডোজ় নেওয়া হয়ে গেলেও, মাপমতো মাস্ক পরা, বড় জমায়েত এড়িয়ে চলা, জনসমক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে সিডিসি ৷ টিকা দেওয়ার পরও যদি কোনও ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনও উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে তাঁদের ফের পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে ৷
টিকার শেষ ডোজ় নেওয়ার দু সপ্তাহ পর কোনও ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ রূপে টিকাপ্রাপ্ত বা ফুললি ভ্যাকসিনেটেড বলা যাবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা ৷ সিডিসি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, 31 মিলিয়ন আমেরিকানের মধ্যে মাত্র 9 শতাংশ সম্পূর্ণ রূপে টিকাপ্রাপ্ত ৷ গত ডিসেম্বরে প্রথম অনুমোদনপ্রাপ্ত টিকা হাতে পেয়েছিল আমেরিকা ৷