ওয়াশিংটন, 23 ফেব্রুয়ারি : লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের সেনা সরানোর গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে আমেরিকা । মার্কিন স্টেস ডিপার্টমেন্টের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে ।
পূর্ব লাদাখে 8 মাস ধরে চলা অচলাবস্থা কাটিয়ে ডিসএনগেজমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত ও চিন । সেনা স্তরে দফায় দফায় বৈঠকের পর উত্তর ও দক্ষিণ প্যাংগং লেক থেকে সেনা সরাতে সম্মত হয়েছে দু দেশ । সে প্রসঙ্গেই সোমবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, ''বাহিনীর ডিসএনগেজমেন্টের প্রক্রিয়ার উপর আমরা কড়া নজর রাখছি। উত্তেজনা প্রশমনে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই ।''
লাদাখের প্যাংগং লেক থেকে সেনা সরানো নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ''দু পক্ষই শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে, তাই অবশ্যই আমরা পরস্থিতির উপর নজর রাখব ।''
গত 21 ফেব্রুয়ারি 16 ঘণ্টা পর শেষ হয় ভারত ও চিনের দশম দফার সেনা বৈঠক । বৈঠকে পরবর্তী পর্যায়ের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয় । কী উপায়ে তা করা হবে, দু পক্ষ সেই নিয়ে নিজেদের মত জানায় ।
গত শুক্রবার পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দুই তীর থেকে ডিসএনগেজমেন্ট অর্থাত্ সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ভারত ও চিন । এরপর শনিবার সকাল দশটা নাগাদ দশম দফার বৈঠকে বসেন দু দেশের শীর্ষ কম্যান্ডার স্তরের সেনা কর্তারা । পরবর্তী পর্যায়ের ডিসএনগেজমেন্টের জন্য দেপসাং, হট স্প্রিং ও গোগরাকে অ্যাজন্ডা করা হয়েছে । প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার চিন সংলগ্ন মলডো এলাকায় চলে এই বৈঠক ।
আরও পড়ুন: 16 ঘণ্টার দশম দফার বৈঠক শেষ, সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা ভারত-চিনের
একটি সূত্র সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছে, ''সেনা সরানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েই আলোচনায় জোর দেওয়া হয়েছে । কী উপায়ে তা করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছে উভয় পক্ষ ।''
গত এপ্রিলে লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পর থেকে গত 9 মাস ধরে সেনা স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত ও চিন । সীমান্তের যুদ্ধের আবহ তৈরি হয় গত 15 জুন। লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় দু পক্ষের সেনাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে প্রাণ যায় 20 জন ভারতীয় জওয়ানের । চিন কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা এতদিন স্বীকার না-করলেও, সম্প্রতি তারা জানিয়েছে গলওয়ানের সংঘর্ষে তাদের 5 জন সেনা অফিসার ও জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল ।