হায়দরাবাদ, 16 মে : বিশ্বজুড়ে রাজত্ব বাড়িয়ে চলেছে কোরোনা । ফলে বিভিন্ন দেশ জর্জরিত হয়ে পড়েছে । তবে, এই মহামারী একটা জিনিস স্পষ্ট করেছে । আর তা হল মানসিক চিকিৎসা পরিষেবায় বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধির প্রয়োজন । অন্যথা আগামীদিনে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিপদ ঘনিয়ে আসবে । রাষ্ট্রসংঘের তরফে একথা বলা হয়েছে । WHO-র ডিরেক্টর জেনেরাল টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসস বলেন, "এই মহমারীর যে প্রভাব মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পড়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক । একদিকে বেকারত্ব ও আয়ের ঘাটতি । তার উপর সোশাল আইসোলেশন, সংক্রমণের ভয় ও পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু । সবমিলিয়ে মানুষ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ।"
রিপোর্টেও দেখা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন দেশে মানসিক অবসাদ ও আতঙ্কের লক্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে । কাজের চাপ থেকে শুরু করে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সংক্রমণের আশঙ্কা-সহ একাধিক কারণে তা প্রভাবিত । শিশু ও কিশোরদের জীবনও অত্যন্ত বিপদে রয়েছে । মহিলাদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু বিপদ রয়েছে । বিশেষত যেসব মহিলা হোম স্কুলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত, ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন, বাড়ির কাজ করছেন । যেসব বয়স্কর আগে থেকেই মানসিক কিছু সমস্যা রয়েছে তাঁরাও যথেষ্ট বিপদের মধ্যে রয়েছেন ।
এই পরিস্থিতির আরও একটা কারণ হচ্ছে, মানসিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সুবিধাগুলি কোরোনা আক্রান্তদের দেওয়া হচ্ছে । ফলে, মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা প্রভাবিত হচ্ছে । পাশাপাশি কোরোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীরাও ।
WHO-র ডিরেক্টর জেনেরাল বলেন, "এখন একটা জিনিস জলের মতো পরিষ্কার । মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন প্রয়োজন । কারণ কোরোনা থেকে মুক্তি পেতে এই মানসিক স্বাস্থ্য অন্যতম মূল উপাদান । সরকার ও সমাজকে একসঙ্গে এই কাজ করতে হবে । অন্যথা সমাজে ও অর্থনীতিতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে ।"মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনায় কিছু দেশ এই বিষয়ে ইতিমধ্যে সাফল্য লাভ করেছে ।