ETV Bharat / international

মুখোমুখি অ্যাংলো-জাঞ্জিবার : পৃথিবীর ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম যুদ্ধ !

author img

By

Published : Oct 22, 2020, 7:01 AM IST

1896 সালের 26 অগাস্ট সকাল 9টা বেজে 2 মিনিটে যুদ্ধ শুরু হয় ৷ 9টা বেজে 40 মিনিটে ব্রিটিশ সৈন্যরা রাজপ্রসাদে ঢুকে সুলতানের পতাকা পুড়িয়ে দেয় ৷ সমাপ্তি হয় যুদ্ধের ৷

shortest war in the history of the world!
shortest war in the history of the world!

যুদ্ধ মানে ধ্বংস ৷ যুদ্ধ মানে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ৷ যুদ্ধ মানে মৃত্যু ৷ কারণ, দু'পক্ষ বন্দুক-কামান-ট্যাঙ্ক-গোলা-বারুদ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে একে অপরের ওপর ৷ আজকের দিনে অবশ্য যুদ্ধ মানে আরও মারণ কিছু ৷ পরামাণু বোমার ব্যবহার না হলেও মিশাইল দিয়ে শত্রুরক্ষের ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া নতুন কথা না ৷ সবচেয়ে বড় কথা, যুদ্ধ একবার বাঁধলে কবে শেষ হবে কেউ জানে না ! যেহেতু এক যুদ্ধের পেছনে থাকতে পারে গোটা পৃথিবীর শক্তিধরদের কুটনীতি, রাজনীতি, সর্বোপরি অর্থনৈতিক স্বার্থ ৷ সেই পৃথিবীতে মাত্র 38 মিনিটে শেষ হয়ে গিয়েছিল একটি আস্ত যুদ্ধ !

এই যুদ্ধ ছিল অ্যালো-জাঞ্জিবার যুদ্ধ ৷ যা ঘণ্টা খানিকও স্থায়ী হয়নি ৷ এই কারণেই অনেক ইতিহাসবিদ একে যুদ্ধ বলতে রাজি নয় ৷ তাছাড়া শক্তিশালী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দুর্বল জাঞ্জিবারের সুলতানের পরাজয় নিশ্চিত ছিল ৷ কিন্তু, জাঞ্জিবার কোথায় ? কবেকার ঘটনা ?

জাঞ্জিবার ভারত মহাসাগরের একটা দ্বীপ ৷ বর্তমানে আফ্রিকার তানজানিয়ার অংশ ৷ 1499 থেকে পর্তুগীজদের দখলে ছিল ৷ পরে 1658 সালে ওমানের সুলতান পর্তুগীজদের বিতাড়িত করে দখলে নেয় দ্বীপের ৷ আরও খানিক সময় পেরিয়ে 1858 সালে জাঞ্জিবারের শাসক সুলতান মাজিদ বিন সাঈদ জাঞ্জিবারকে ওমান থেকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন ৷ সেই সময় ব্রিটিশরা মাজিদকে সমর্থন করে ৷ কিন্তু 1886 সালে জাঞ্জিবার সরকারের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে ব্রিটিশরা ৷ এর মধ্যে মাজিদ বিন সাঈদের মৃত্যুতে নতুন সুলতান হন আলি বিন সাঈদ ৷ তিনি ব্রিটিশদের চাপে জাঞ্জিবারকে ব্রিটিশদের উপনিবেশ বলে ঘোষণাও করেন ৷ ব্রিটিশদের সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি হয় ৷ যেখানে শর্ত ছিল, নতুন কাউকে জাঞ্জিবারের সুলতান হতে হলে ব্রিটিশদের অনুমতি লাগবে ৷ এরপর একাধিক ঘটনাক্রম চলে ৷ নিয়ম মেনেই সুলতান বদলায় ৷ পরবর্তীকালে সুলতান হামাদ বিন তাওয়াইনির মৃত্যুর পর ব্রিটিশদের অনুমতি ছাড়াই নিজেকে সুলতান বলে ঘোষণা করেন সুলতানের ভাইপো খালিদ বিন বারঘাস ৷ ব্রিটিশদের যা পছন্দ হয়নি ৷ শুরুতে বারঘাস ইংরেজদের হুকুম মেনে নিলেও পরবর্তীকালে নিজের সৈন্যবাহিনী তৈরি করেন ও রাজপ্রাসাদের দখল নেন ৷ বলা হয়, বারঘাসের অতি সাহসের পেছনে ছিল জার্মান সমর্থন ৷ যাই হোক, অবশেষে 1896 সালে সেই ঐতিহাসিক 38 মিনিটের যুদ্ধ হয় ৷

সেদিন 1896 সালের 26 অগাস্ট সকাল 9টা বেজে 2 মিনিটে যুদ্ধ শুরু হয় ৷ 9টা বেজে 40 মিনিট নাগাদ ব্রিটিশ সৈন্যরা রাজপ্রসাদে ঢুকে সুলতানের পতাকা পুড়িয়ে দেয় ৷ সমাপ্তি হয় যুদ্ধেরও ৷ 38 মিনিটের ঐতিহাসিক যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা একেবারে কম ছিল না ৷ সুলতান বাহিনীর প্রায় 500 জনের মৃত্যু হয় ৷ অন্যদিকে 1 জন মাত্র ব্রিটিশ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছিল ৷

যুদ্ধ মানে ধ্বংস ৷ যুদ্ধ মানে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ৷ যুদ্ধ মানে মৃত্যু ৷ কারণ, দু'পক্ষ বন্দুক-কামান-ট্যাঙ্ক-গোলা-বারুদ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে একে অপরের ওপর ৷ আজকের দিনে অবশ্য যুদ্ধ মানে আরও মারণ কিছু ৷ পরামাণু বোমার ব্যবহার না হলেও মিশাইল দিয়ে শত্রুরক্ষের ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া নতুন কথা না ৷ সবচেয়ে বড় কথা, যুদ্ধ একবার বাঁধলে কবে শেষ হবে কেউ জানে না ! যেহেতু এক যুদ্ধের পেছনে থাকতে পারে গোটা পৃথিবীর শক্তিধরদের কুটনীতি, রাজনীতি, সর্বোপরি অর্থনৈতিক স্বার্থ ৷ সেই পৃথিবীতে মাত্র 38 মিনিটে শেষ হয়ে গিয়েছিল একটি আস্ত যুদ্ধ !

এই যুদ্ধ ছিল অ্যালো-জাঞ্জিবার যুদ্ধ ৷ যা ঘণ্টা খানিকও স্থায়ী হয়নি ৷ এই কারণেই অনেক ইতিহাসবিদ একে যুদ্ধ বলতে রাজি নয় ৷ তাছাড়া শক্তিশালী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দুর্বল জাঞ্জিবারের সুলতানের পরাজয় নিশ্চিত ছিল ৷ কিন্তু, জাঞ্জিবার কোথায় ? কবেকার ঘটনা ?

জাঞ্জিবার ভারত মহাসাগরের একটা দ্বীপ ৷ বর্তমানে আফ্রিকার তানজানিয়ার অংশ ৷ 1499 থেকে পর্তুগীজদের দখলে ছিল ৷ পরে 1658 সালে ওমানের সুলতান পর্তুগীজদের বিতাড়িত করে দখলে নেয় দ্বীপের ৷ আরও খানিক সময় পেরিয়ে 1858 সালে জাঞ্জিবারের শাসক সুলতান মাজিদ বিন সাঈদ জাঞ্জিবারকে ওমান থেকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন ৷ সেই সময় ব্রিটিশরা মাজিদকে সমর্থন করে ৷ কিন্তু 1886 সালে জাঞ্জিবার সরকারের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে ব্রিটিশরা ৷ এর মধ্যে মাজিদ বিন সাঈদের মৃত্যুতে নতুন সুলতান হন আলি বিন সাঈদ ৷ তিনি ব্রিটিশদের চাপে জাঞ্জিবারকে ব্রিটিশদের উপনিবেশ বলে ঘোষণাও করেন ৷ ব্রিটিশদের সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি হয় ৷ যেখানে শর্ত ছিল, নতুন কাউকে জাঞ্জিবারের সুলতান হতে হলে ব্রিটিশদের অনুমতি লাগবে ৷ এরপর একাধিক ঘটনাক্রম চলে ৷ নিয়ম মেনেই সুলতান বদলায় ৷ পরবর্তীকালে সুলতান হামাদ বিন তাওয়াইনির মৃত্যুর পর ব্রিটিশদের অনুমতি ছাড়াই নিজেকে সুলতান বলে ঘোষণা করেন সুলতানের ভাইপো খালিদ বিন বারঘাস ৷ ব্রিটিশদের যা পছন্দ হয়নি ৷ শুরুতে বারঘাস ইংরেজদের হুকুম মেনে নিলেও পরবর্তীকালে নিজের সৈন্যবাহিনী তৈরি করেন ও রাজপ্রাসাদের দখল নেন ৷ বলা হয়, বারঘাসের অতি সাহসের পেছনে ছিল জার্মান সমর্থন ৷ যাই হোক, অবশেষে 1896 সালে সেই ঐতিহাসিক 38 মিনিটের যুদ্ধ হয় ৷

সেদিন 1896 সালের 26 অগাস্ট সকাল 9টা বেজে 2 মিনিটে যুদ্ধ শুরু হয় ৷ 9টা বেজে 40 মিনিট নাগাদ ব্রিটিশ সৈন্যরা রাজপ্রসাদে ঢুকে সুলতানের পতাকা পুড়িয়ে দেয় ৷ সমাপ্তি হয় যুদ্ধেরও ৷ 38 মিনিটের ঐতিহাসিক যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা একেবারে কম ছিল না ৷ সুলতান বাহিনীর প্রায় 500 জনের মৃত্যু হয় ৷ অন্যদিকে 1 জন মাত্র ব্রিটিশ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছিল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.