কলকাতা, 7 জানুয়ারি: সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে । এমনকি এও অভিযোগ, নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযুক্তদের তরফে ৷ নিরাপত্তা ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন নির্যাতিতা ৷ বুধবার মামলার শুনানি হবে ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মল্লিক, সৈকত দাস ওরফে পিকাই-সহ আরও একজন ৷ গত বছর 15 এপ্রিল ঘটে এই ঘটনা । 16 মে সন্দেশখালি থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ করেন নির্যাতিতা । তাঁর অভিযোগ, থানায় জানানো হলেও এখনও অভিযুক্তদের তিনজনের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি । তাই এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকে প্রতিনিয়ত তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে । অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে ৷ তাই তিনি আদালতের কাছে সুরক্ষা ও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মামলা করেন ৷ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, গত বছর ঠিক এই সময়ে সামনে এসেছিল সন্দেশখালির সেই সময়কার 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহানের কুকীর্তি । শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরারা পরে একে একে গ্রেফতারও হন । ওই তৃণমূল নেতাদের মদতে সন্দেশখালিতে বছরের পর বছর মহিলাদের উপর নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ ওঠে ৷ সেই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন এলাকার মহিলারা । যদিও ব্যক্তিগতভাবে কেউ সেই অভিযোগ নিয়ে এতদিন আদালতের দ্বারস্থ হননি । তবে এবার সেটাই ঘটল ৷
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষে দক্ষিণ 24 পরগনার সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঞ্চ থেকে সন্দেশখালির মহিলাদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন, "কেউ ডাকলেই চলে যাবেন না ৷ বিজেপির টাকার প্রলোভনে পা দেবেন না ৷ দুষ্টু লোকের খপ্পড়ে পড়বেন না ৷ প্রশাসন যা করার দুয়ারে সরকারের মাধ্যমেই করবে ৷ প্রয়োজনে আপনার দরজায় আসবে ৷ তারা আপনাদের ব্যাপারটা দেখবে ৷ আমি জানি এখানে টাকার অংকে খেলা হয়েছে ৷ পরে দেখলেন তো সবটাই ভাঁওতা ৷ মিথ্যে বেশিদিন চলে না ৷ মিথ্যে তো একদিন প্রকাশ পায় ৷"