বেইরা (দক্ষিণ আফ্রিকা), 24 মার্চ : আফ্রিকার দক্ষিণে গত শুক্রবার আছড়ে পড়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ইদাই। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যায় এখনও পর্যন্ত মোজ়াম্বিক, জ়িম্বাবুয়ে এবং মালাউইতে মারা গেছে মোট 732 জন। হাজার হাজার মানুষ এখনও পর্যন্ত গৃহহীন। বিভিন্ন জায়গায় ঘরছাড়া হয়ে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে গাছের ডাল, উঁচু বাড়ির ছাদে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সেদেশের প্রশাসন। উদ্ধারকাজ চলছে। ভারতীয় নৌ-সেনাও মোজ়াম্বিকে পৌঁছেছে।
মোজ়াম্বিকের বন্দর শহর বেইরাতে 170 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইদাই। তারপর ধীরে ধীরে জ়িম্বাবুয়ে ও মালাউইতে সরে যায়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার মোজ়াম্বিকে মারা গেছে 417 জন, জ়িম্বাবুয়েতে 259 জন এবং মালাউইতে 56 জন। রাষ্ট্রসংঘ বন্যা কবলিতদের সহযোগিতার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে ত্রাণ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে। জায়গায় জায়গায় ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের।
মিমি ম্যানুয়াল (26)। বন্যায় তাঁর ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। কাছেই একটি প্রাইমারি স্কুলে চার সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমাদের সব খাবার জলে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছি না।" ডিনা ফেইডাগো (18) বলেন, "যখন ঘূর্ণিঝড় শুরু হয় মানুষ ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করে। কেউ কেউ ঘরের বাইরে বেরিয়ে যায়, কেউ কেউ আবার ঘরের ভিতরেই আশ্রয় নেয়।"
ভূমি ও পরিবেশ মন্ত্রক মন্ত্রী সেলসো কোরিয়া বলেন, "ঘূর্ণিঝড়ের দাপট কমে এলেও বন্যার কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। তবে আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে।"