কলকাতা, 30 জুন: যৌনকর্মীদের রোজনামচার রঙ্গজীবন এবার ধরা দেবে নাট্যমঞ্চে ৷ সিমলা এ বং পজিটিভ নাট্যদলের উদ্যোগে মঞ্চস্থ হতে চলেছে 'নাজিয়া'। মূলত যৌনকর্মীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপর নির্ভর করেই এই নাটক। নেপথ্যে পরিচালক বাপ্পা ৷ আগামী 15 এবং 29 জুলাই গিরিশ মঞ্চ ও মিনার্ভা থিয়েটারে উপস্থাপিত হবে 'নাজিয়া' ৷
প্রদীপের নীচে যেমন অন্ধকার থাকে তেমনই যৌনপল্লীর অলি-গলিতে সেই অন্ধকার দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট ৷ এই জগত সংসারে তাদেরও যে ভূমিকা রয়েছে তথাকথিত ভদ্রসমাজ তা এককথায় অস্বীকার করে ৷ ফলে অনেকটা উপেক্ষা নিয়ে নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পতিতালয়ের অবহেলিতরা ৷
এমনই একজন অবহেলিত মেয়ে হল নাজিয়া, যার হৃদয় অমায়িক এবং স্বপ্ন তার চেয়েও বড়। কিন্তু সে তার প্রেমিকের হাত ধরে প্রতারিত হয়ে এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়ে গিয়েছে। তবে এ গল্প শুধু নাজিয়ার নয়। তার হাত ধরে 13টি মেয়ের ভিন্ন ভিন্ন জীবনযন্ত্রনা নিয়ে এই গল্প। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে যৌন ব্যবসায় নিযুক্ত প্রত্যেকটি মেয়ে তাদের স্বাধীন ইচ্ছায় লিপ্ত, আজ বদলে দিয়েছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বর্বরতার রূপকে ৷
উল্লেখ্য, বাপ্পা তার প্রতিটি কাজের মধ্য দিয়েই সমাজের কালো দিকগুলিকে তুলে আনার চেষ্টা করে থাকেন, তা সিনেমা হোক বা নাটক ৷ এই নাটকটি সম্পূর্ণ ডিভাইস ফর্মে তৈরি করা একটা এক্সপেরিমেন্টাল নাটক । পরিচালক, এক অন্য প্রসেসের মধ্য দিয়ে গল্পটিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ৷ তার সঙ্গে মিউজিক, কোরিওগ্রাফি, আলো, পোশাক এই সবকিছুই নাটকের সেই ভাবধারাকে তরান্বিত করেছে।
আরও পড়ুন: 'কু-প্রস্তাব পেয়েও কাজ চেয়েছিলেন কেন ?' সুকন্যার অভিযোগের পালটা বাপ্পার
নাটকটি রচনা করেছেন সুমিত ভট্টাচার্য ৷ মিউজিকের দায়িত্ব সামলেছেন প্রাঞ্জল দাস ও কোরিওগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন হিরক সাহা ৷ এক অন্যধারার কাজ দেখার জন্য বাংলা থিয়েটারের দর্শক মুখিয়ে থাকবেন। এই ধরনের এক্সপেরিমেন্টাল কাজ আরও হোক বাংলা মঞ্চে, এই তরুণ তূর্কীরাই আগামীর প্রতীক হিসেবে নিজেদের মেলে ধরুক 'নাজিয়া'র মধ্য দিয়ে।