ETV Bharat / entertainment

সইফের হামলাকারী কি সত্যিই শরিফুল ? অভিযুক্তকে চিনিয়ে দিলেন বাড়ির কর্মীরাই - SAIF ALI KHAN STABBING CASE

সইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী কে ? শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন মুম্বই পুলিশের ৷ বাড়ির সহায়ক কর্মীরাই চিনিয়ে দিলেন অভিযুক্তকে ৷

Etv Bharat
সইফের হামলাকারী কি সত্যিই শরিফুল ? (এএনআই)
author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : Feb 6, 2025, 3:34 PM IST

মুম্বই, 6 ফেব্রুয়ারি: শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ৷ সইফ আলি খানের ওপর হামলাকারীকে চিহ্নিত করলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা ৷ বৃহস্পতিবারই সেই খবর সামনে এনেছে ৷ মুম্বই পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে শনাক্ত করেছেন অভিনেতা সইফের ওপর হামলার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা ৷

এই মুহূর্তে আর্থার রোড সংশোধনাগারে বন্দি শরিফুল ৷ সেখানেই শনাক্তকরণ করা হয়েছে অভিযুক্তকে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রমাণ রয়েছে ৷ তাঁদের দাবি সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে অভিযুক্তের মুখের মিল ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়েছে ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন টেস্ট’-এ। ফলে সইফের ওপর হামলাকারী যে শেহজাদ, তা প্রমাণ করা আরও সহজ হয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে আর্থার রোড সংশোধনাগারের সিনিয়র জেলরের অফিসে একজন তহশিলদারের উপস্থিতিতে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সইফ আলি খান ও করিনা কপুর খানের বাড়ির সহায়ক কর্মী আরিয়ামা ফিলিপ এবং জেহ্‌-র দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আয়া জুনু। এই দুই মহিলাই ঘটনার রাতে শেহজাদকে দেখেছিলেন জেহ-র ঘরের বাইরে। 31 জানুয়ারি অভিযুক্তের ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন টেস্ট’ সম্পন্ন করেছে মুম্বই পুলিশ ৷

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদের ফেসিয়াল রিকগনিশন টেস্ট পজিটিভ এসেছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সেই ব্যক্তিই আসলে শরিফুল তা পরীক্ষায় প্রমাণিত ৷" পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ৷ পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে শরিফুল ৷ মুম্বইয়ে আসার আগে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় কিছুদিন থেকেছে ৷ তারও সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে ৷

গত মাসে, শোনা গিয়েছিল, সইফের হামলাকারীর আঙুলের ছাপের সঙ্গে অভিযুক্ত শরিফুলের আঙুলের ছাপ মিলছে না ৷ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরমজিৎ সিং দাহিয়া তাকে গুজব বলে অস্বীকার করেন ৷ তিনি বলেন, "যখনই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনেক মৌখিক, শারীরিক এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণ পেয়েছি ৷ আমরা আসল কালপ্রিটকেই গ্রেফতার ৷"

অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যেই অভিযুক্ত অভিজাত আবাসনে ঢুকেছিল তা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা ৷ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার 311, 312, 331(4), 331(6), and 331(7) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷

অন্যদিকে, অভিযুক্তের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুলিশ সঠিক তদন্ত করেনি ৷ আইনজীবী সন্দীপ শেখানে বলেন, "আদালত 5 দিনের জেল হেফাজত দিয়েছিল শরিফুলকে ৷ সে যে বাংলাদেশী তা পুলিশ প্রমাণ করতে পারেনি ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শরিফুল 6 মাস আগে মুম্বই এসেছে ৷ কিন্তু শরিফুল 7 বছর ধরে এখানে রয়েছে ৷ তাঁর পরিবারও মুম্বইতেই রয়েছে ৷ এটা পরিষ্কার 43A ধারা লংঘন করা হয়েছে ৷ সঠিকভাবে পুলিশ তদন্ত করেনি ৷"

21 জানুয়ারি সইফ আলি খানের ওপর হামলা হয় ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত সইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয় ৷ বেশ কিছুদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অভিনেতা ৷ সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে তাঁর নতুন সিনেমা 'জুয়েল থিফ'-এর প্রচার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় সইফ আলি খানকে ৷ সেখানে তাঁর গলায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করেন অনুরাগীরা ৷

মুম্বই, 6 ফেব্রুয়ারি: শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ৷ সইফ আলি খানের ওপর হামলাকারীকে চিহ্নিত করলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা ৷ বৃহস্পতিবারই সেই খবর সামনে এনেছে ৷ মুম্বই পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে শনাক্ত করেছেন অভিনেতা সইফের ওপর হামলার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা ৷

এই মুহূর্তে আর্থার রোড সংশোধনাগারে বন্দি শরিফুল ৷ সেখানেই শনাক্তকরণ করা হয়েছে অভিযুক্তকে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রমাণ রয়েছে ৷ তাঁদের দাবি সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে অভিযুক্তের মুখের মিল ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়েছে ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন টেস্ট’-এ। ফলে সইফের ওপর হামলাকারী যে শেহজাদ, তা প্রমাণ করা আরও সহজ হয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে আর্থার রোড সংশোধনাগারের সিনিয়র জেলরের অফিসে একজন তহশিলদারের উপস্থিতিতে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সইফ আলি খান ও করিনা কপুর খানের বাড়ির সহায়ক কর্মী আরিয়ামা ফিলিপ এবং জেহ্‌-র দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আয়া জুনু। এই দুই মহিলাই ঘটনার রাতে শেহজাদকে দেখেছিলেন জেহ-র ঘরের বাইরে। 31 জানুয়ারি অভিযুক্তের ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন টেস্ট’ সম্পন্ন করেছে মুম্বই পুলিশ ৷

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদের ফেসিয়াল রিকগনিশন টেস্ট পজিটিভ এসেছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সেই ব্যক্তিই আসলে শরিফুল তা পরীক্ষায় প্রমাণিত ৷" পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ৷ পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে শরিফুল ৷ মুম্বইয়ে আসার আগে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় কিছুদিন থেকেছে ৷ তারও সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে ৷

গত মাসে, শোনা গিয়েছিল, সইফের হামলাকারীর আঙুলের ছাপের সঙ্গে অভিযুক্ত শরিফুলের আঙুলের ছাপ মিলছে না ৷ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরমজিৎ সিং দাহিয়া তাকে গুজব বলে অস্বীকার করেন ৷ তিনি বলেন, "যখনই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনেক মৌখিক, শারীরিক এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণ পেয়েছি ৷ আমরা আসল কালপ্রিটকেই গ্রেফতার ৷"

অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যেই অভিযুক্ত অভিজাত আবাসনে ঢুকেছিল তা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা ৷ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার 311, 312, 331(4), 331(6), and 331(7) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷

অন্যদিকে, অভিযুক্তের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুলিশ সঠিক তদন্ত করেনি ৷ আইনজীবী সন্দীপ শেখানে বলেন, "আদালত 5 দিনের জেল হেফাজত দিয়েছিল শরিফুলকে ৷ সে যে বাংলাদেশী তা পুলিশ প্রমাণ করতে পারেনি ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শরিফুল 6 মাস আগে মুম্বই এসেছে ৷ কিন্তু শরিফুল 7 বছর ধরে এখানে রয়েছে ৷ তাঁর পরিবারও মুম্বইতেই রয়েছে ৷ এটা পরিষ্কার 43A ধারা লংঘন করা হয়েছে ৷ সঠিকভাবে পুলিশ তদন্ত করেনি ৷"

21 জানুয়ারি সইফ আলি খানের ওপর হামলা হয় ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত সইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয় ৷ বেশ কিছুদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অভিনেতা ৷ সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে তাঁর নতুন সিনেমা 'জুয়েল থিফ'-এর প্রচার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় সইফ আলি খানকে ৷ সেখানে তাঁর গলায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করেন অনুরাগীরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.