মুম্বই, 6 ফেব্রুয়ারি: শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ৷ সইফ আলি খানের ওপর হামলাকারীকে চিহ্নিত করলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা ৷ বৃহস্পতিবারই সেই খবর সামনে এনেছে ৷ মুম্বই পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে শনাক্ত করেছেন অভিনেতা সইফের ওপর হামলার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা ৷
এই মুহূর্তে আর্থার রোড সংশোধনাগারে বন্দি শরিফুল ৷ সেখানেই শনাক্তকরণ করা হয়েছে অভিযুক্তকে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রমাণ রয়েছে ৷ তাঁদের দাবি সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে অভিযুক্তের মুখের মিল ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়েছে ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন টেস্ট’-এ। ফলে সইফের ওপর হামলাকারী যে শেহজাদ, তা প্রমাণ করা আরও সহজ হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে আর্থার রোড সংশোধনাগারের সিনিয়র জেলরের অফিসে একজন তহশিলদারের উপস্থিতিতে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন সইফ আলি খান ও করিনা কপুর খানের বাড়ির সহায়ক কর্মী আরিয়ামা ফিলিপ এবং জেহ্-র দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আয়া জুনু। এই দুই মহিলাই ঘটনার রাতে শেহজাদকে দেখেছিলেন জেহ-র ঘরের বাইরে। 31 জানুয়ারি অভিযুক্তের ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন টেস্ট’ সম্পন্ন করেছে মুম্বই পুলিশ ৷
Attack on Saif Ali Khan | Identification parade of accused Mohammad Shariful Islam Shehzad was done at Arthur Road Jail on 5th February. House help and staff nurse of Khan had arrived at the jail to identify the accused. The identification parade was done in the presence of…
— ANI (@ANI) February 6, 2025
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদের ফেসিয়াল রিকগনিশন টেস্ট পজিটিভ এসেছে ৷ সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে সেই ব্যক্তিই আসলে শরিফুল তা পরীক্ষায় প্রমাণিত ৷" পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ৷ পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে শরিফুল ৷ মুম্বইয়ে আসার আগে কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় কিছুদিন থেকেছে ৷ তারও সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে ৷
গত মাসে, শোনা গিয়েছিল, সইফের হামলাকারীর আঙুলের ছাপের সঙ্গে অভিযুক্ত শরিফুলের আঙুলের ছাপ মিলছে না ৷ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরমজিৎ সিং দাহিয়া তাকে গুজব বলে অস্বীকার করেন ৷ তিনি বলেন, "যখনই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অনেক মৌখিক, শারীরিক এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণ পেয়েছি ৷ আমরা আসল কালপ্রিটকেই গ্রেফতার ৷"
অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যেই অভিযুক্ত অভিজাত আবাসনে ঢুকেছিল তা নিশ্চিত করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা ৷ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায়সংহিতার 311, 312, 331(4), 331(6), and 331(7) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷
অন্যদিকে, অভিযুক্তের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পুলিশ সঠিক তদন্ত করেনি ৷ আইনজীবী সন্দীপ শেখানে বলেন, "আদালত 5 দিনের জেল হেফাজত দিয়েছিল শরিফুলকে ৷ সে যে বাংলাদেশী তা পুলিশ প্রমাণ করতে পারেনি ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শরিফুল 6 মাস আগে মুম্বই এসেছে ৷ কিন্তু শরিফুল 7 বছর ধরে এখানে রয়েছে ৷ তাঁর পরিবারও মুম্বইতেই রয়েছে ৷ এটা পরিষ্কার 43A ধারা লংঘন করা হয়েছে ৷ সঠিকভাবে পুলিশ তদন্ত করেনি ৷"
21 জানুয়ারি সইফ আলি খানের ওপর হামলা হয় ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত সইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয় ৷ বেশ কিছুদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান অভিনেতা ৷ সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে তাঁর নতুন সিনেমা 'জুয়েল থিফ'-এর প্রচার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা যায় সইফ আলি খানকে ৷ সেখানে তাঁর গলায় স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করেন অনুরাগীরা ৷