হায়দরাবাদ, 22 জুন: পরিচালক হিসাবে অনুভব সিনহা নিজেই বারবার স্বীকার করেছেন তাঁর ট্রান্সফরমেশনের কথা ৷ অনুভব নিজেই জানিয়েছেন, 2001 সালে 'তুম বিন' ছবিটি বানানোর সময় তাঁকে বলা হয়েছিল, একটা এমন ছবি বানান যাতে প্রচুর গান থাকবে ৷ সেই কথা ভেবেই এই ছবিটি বানান তিনি ৷ ছবিটি টেলিভিশনে মারাত্মক জনপ্রিয় একসময় ৷ তারপর 'আপকো প্য়াহলে তো কহি দেখা হ্যায়', 'দশ', 'ক্যাশ', 'তথাস্তু'-এর মতো একাধিক ছবি বানিয়েছিলেন অনুভব ৷ যা বিপুল জনপ্রিয়তাও পায় ৷ কিন্তু সমস্য়া তৈরি হয় 'রা-ওয়ান' ছবি থেকে ৷ আর সেই ব্যর্থতাই বদলে দেয় অনুভবকে ৷ আজ পরিচালকের জন্মদিনে ফিরে দেখা সেই কাহিনি ৷
শাহরুখ খানের সঙ্গে তৈরি এই বিগ বাজেট ছবি ব্যর্থ হয় বক্স অফিসে ৷ সাই ফাই ফিল্মের দুনিয়া যে তাঁকে সেই জায়গা দিতে পারছে না তা বুঝতে পারেন পরিচালক ৷ তখন চরম সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছিল পরিচালককে ৷ আর সেখান থেকেই বোধহয় এক নতুন অনুভব সিনহার জন্ম ৷ যিনি অনেক পরিণত, ডিটেলের প্রতি যাঁর মনোযোগ সাংঘাতিক ৷ আজকের অনুভবের কাছে ছবি মানে আর শুধু নায়ক-নায়িকা নয় ৷ পার্শ্ব চরিত্ররাও এখন তাঁর ছবিতে ভীষণভাবে রক্ত মাংসের চরিত্র হয়ে ওঠে ৷
মূলত 'আর্টিকেল 15' ছবি থেকে তাঁর এই পরিবর্তনের শুরু ৷ এই ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে একটি ইন্টারভিউতে তিনি জানান, মূলত রাগ থেকেই এই ছবির চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেন তিনি ৷ আর সেই ক্ষোভকেই তিনি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন তাঁর ছবিতে ৷ এভাবেই তাঁর মধ্য়ে জন্ম হয় এক পরিবর্তনের ৷
একটি সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি যখন এই ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা শুরু করি, তখন আমার অনেক তরুণ সহকর্মীরাই মনে করতেন জাতপাত তো আদ্যিকালের বিষয়। আমার জানতে ইচ্ছা হল ওঁরা খবরের কাগজ পড়ছেন কিনা । আর এটাই রাগের কারণ হয়ে ওঠে ৷" তিনি জানান তখন সবে 'মুুলক'-এর চিত্রনাট্যের কাজ শেষ হতে চলেছে ৷ তিনি বুঝতে পারেন ছবিটা তাঁকে করতেই হবে ৷
আরও পড়ুন: 'সিঙ্গেল ডিজিট' এ নামল 'আদিপুরুষ' ছবির আয়! কমল টিকিটের দামও
এরপর তিনি যোগাযোগ করেন তাঁর কো রাইটার গৌরব শোলাঙ্কির সঙ্গে ৷ দু'জনের হাত ধরেই জন্ম হয় 'আর্টিকেল 15' ছবির ৷ এই ছবির হাত ধরেই বদলে যায় অনুভবের জীবন ৷ এরপর 'মুলক','থাপ্পড়', 'ভিড়'-এর মতো একাধিক ছবি বানিয়েছেন তিনি যা রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে বক্স অফিসে ৷