হায়দরাবাদ, 8 জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ছবিতে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের একাধিক মন্ত্রী এবং সরকারি আধিকারিকরা ৷ যার বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে বিদেশমন্ত্রক ৷ পাশাপাশি সোশালে শুরু হয়েছে 'বয়কট মলদ্বীপ' প্রচার ৷ যার একটা বড় অংশ হয়ে উঠেছেন রুপোলি পর্দার তারকারা ৷ বিশেষত, বলিউড ৷ এবার সেই সূত্রে, কেন্দ্রশাসিত উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে পর্যটনের প্রচারে সামিল হলেন অমিতাভ বচ্চন ৷ সোমবার দেশের পর্যটনের প্রচারে বীরেন্দ্র সেহওয়াগের করা একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন 'বিগ বি' ৷
সেখানে সেহওয়াগের পোস্টের প্রেক্ষিতে অমিতাভ লিখেছেন, "বীরু ভাই... এটা খুবই প্রাসঙ্গিক এবং আমাদের দেশের আবেগের জন্য একেবারে সঠিক ৷ আমাদেরগুলো সবচেয়ে সেরা ৷ আমি নিজে লাক্ষাদ্বীপ এবং আন্দামানে গিয়েছি এবং এই জায়গাগুলি খুবই অসাধারণ ও সুন্দর ৷ দুর্দান্ত সৈকত এবং জলের তলার অভিজ্ঞতা অসাধারণ ৷" পোস্টের শেষে হিন্দিতে বিগ বি লেখেন, "আমরা ভারতীয়, আমরা আত্মনির্ভর, আমাদের আত্মনির্ভরতায় আঘাত হানবেন না ৷ জয় হিন্দ ৷"
উল্লেখ্য সেহওয়াগ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে চারটি ছবি পোস্ট করেন ৷ সঙ্গে সেই জায়গাগুলির নাম ও তাঁর বিশেষত্ব তুলে ধরেছিলেন ৷ প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার সেখানে লেখেন, "উদুপির সৈকত, পুদুচেরির প্যারাডাইস বিচ, আন্দামানের নীল দ্বীপ ও হ্যাভলক এবং আরও অনেক সুন্দর সৈকত রয়েছে আমাদের দেশে ৷ ভারতে এমন অনেক অজানা জায়গা রয়েছে ৷ সামান্য পরিকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুললে, যে জায়গাগুলিতে পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হবে ৷"
শুধু তাই নয়, ভারত দেশ হিসেবে যে কোনও জটিল পরিস্থিতিকে, কীভাবে একটি নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগে পরিণত করে, তাও উল্লেখ করেন বীরু ৷ তিনি লেখেন, "ভারতের পরিচয় বিপদকে নতুন সম্ভাবনায় রুপান্তর করা ৷ আর তাই মলদ্বীপের মন্ত্রীদের তরফে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অপমান, ভারতের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে ৷ শুধুমাত্র কিছু প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে সেই জায়গাগুলিকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে ৷ এটা আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে ৷ দয়া করে আমাদের দেশের অজানা জায়গাগুলির নাম উল্লেখ করুন ৷"
সেহওয়াগের এই পোস্টের সমর্থনেই অমিতাভ বচ্চন এদিন লাক্ষাদ্বীপ ও আন্দামানের সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা করেন ৷ উল্লেখ্য, লাক্ষাদ্বীপের সৈকতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিকে ঘিরে মলদ্বীপের মন্ত্রী এবং আধিকারিকদের মন্তব্যের রেষ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপকভাবে পড়েছে ৷ মালে সরকারের তরফে ইতিমধ্যে তিন মন্ত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ কিন্তু, মলদ্বীপের মন্ত্রীদের তরফে নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা এবং তার 48 ঘণ্টার মধ্যে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুর সস্ত্রীক চিন সফরে যাওয়া, এর পিছনে দ্বীপরাষ্ট্রের অন্যরকম বিদেশনীতির সমীকরণ দেখছে কূটনৈতিকমহল ৷
আরও পড়ুন: