কলকাতা, 24 অগস্ট: বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত প্রয়াসে বানানো একটি ছবি জাতীয় মঞ্চে স্বীকৃতি পাবে, এমনটা ভাবতেও পারেননি ৷ চলতি বছর অর্থাৎ 27তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবি জায়গা করে নিয়েছিল ৷ নবাগত হিসাবে সেই সময়েই দর্শকদের নজরে পড়েন তিনি ৷ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সেরা ছবির পুরস্কারও জিতে নেয় ছবিটি । এবার সেরার সেরা স্বীকৃতি ৷ গৌতম ঘোষের পুত্র ঈশান ঘোষ পরিচালিত প্রথম ছবি 'ঝিল্লি' পেল জাতীয় পুরস্কার ৷
পরিচালক ঈশান ঘোষের সঙ্গে কথা বলে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি। স্বভাবতই তিনি বেজায় খুশি। বলেন, "অপ্রত্যাশিত। আমি জানতাম না ৷ সাংবাদিকের কাছ থেকেই জানলাম খুশির এই খবরটা। ছবিটা বানাতে চার বছর লেগে গিয়েছিল। কোভিড চলছিল তখন। স্পেশাল মেনশন আর সাউন্ড ডিজাইনিং-এর জন্য পুরস্কার পেয়েছে ছবিটা। অনেক বিগ বাজেটের ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জিতেছে আমাদের 'ঝিল্লি'। আমাদের ছবিটা অনেক কম বাজেটের সেই তুলনায়।"
বাবা তথা পরিচালক গৌতম ঘোষের অনেক ছবিই জাতীয় মঞ্চে স্বীকৃতি পেয়েছে ৷ এবার সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন ছেলে ঈশানও ৷ কতটা খুশী বাবা? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "বাবাও খুব খুশি" ৷
কী টিপস দিয়েছেন ঈশানকে? তার জবাবে বলেন, "খুব বেশি নয়। আমি বানানোর পরই দেখিয়েছিলাম বাবাকে। তারপর সাহায্য করেন।" বড় পরিচালকের ছেলে হলে এবং পুরস্কার পেলে নানান কথা হয়। সেগুলোকে কীভাবে দেখেন ঈশান? নবীন পরিচালকের উত্তর, "কিছুই বলার নেই এক্ষেত্রে। ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড সঠিক কাজ না দেখাতে পারলে আসে না।"
আরও পড়ুন: জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে 'ঝিল্লি' ও 'কালকক্ষ'-এর জয়যাত্রা
প্রসঙ্গত, 'ঝিল্লি'তে দর্শক দেখেছে মানুষের কষ্ট, সহনশীলতা-সহ মানুষের জীবনের নানা রঙ। কলকাতার মতো বড় শহরের মাঝখানে মানুষ এবং প্রাণীদের জীবনযাপনের চমকপ্রদ এবং অদ্ভুত সব দৃশ্য এই ছবির উপজীব্য। ছবিটির প্রযোজক পরিচালক তথা ঈশানের বাবা গৌতম ঘোষ। গৌতম ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন, "ছবিটা আমার ছেলে বানাচ্ছে বলে আমি প্রযোজনা করছি না । এই ছবিতে নতুন ভাষা খোঁজার চেষ্টা করেছে ঈশান । তাই আমি এগিয়ে এসেছি।"