কলকাতা, 21 ডিসেম্বর: সালটা 1992 । কিংবদন্তি পরিচালক প্রভাত রায় তৈরি করেছিলেন 'শ্বেত পাথরের থালা' ছবিটি ৷ মূল উপন্যাসটির রচয়িতা বাণী বসু । নাম একই রেখেছিলেন পরিচালক । বলতে দ্বিধা নেই, সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছিল সেই ছবি । অপর্ণা সেন, সব্যসাচী চক্রবর্তী, ইন্দ্রাণী হালদার, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে অভিনয় করেছিলেন সেই ছবিতে ।
উপন্যাসের খানিকটা অংশ ছবিতে তুলে ধরা হলেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই ছবি । শুধু তাই নয়, পারিবারিক কল্যাণের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পায় 'শ্বেত পাথরের থালা'। এই ছবির হাত ধরেই বড় পর্দায় অভিষেক করেন টলিকুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত । আর এবার ছোট পর্দায় 'সাহিত্যের সেরা সময়'-এ আসছে 'শ্বেত পাথরের থালা'। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপর্বে হাজির ছিলেন সাহিত্যিক বাণী বসুও । সেখানে তিনি স্পষ্টই জানান, বাংলা ছবির জগতে এটি হয়ত কাল্ট হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে তবে তাঁকে খুব মোহিত করতে পারেনি সেই কাজ ৷ বরং তাঁর মনে হয়েছে শেষের দিকে এসে বিষয়টি একটু গুলিয়ে ফেলেছিলেন নির্মাতারা (Bani Basu Criticizes Shwet Patharer Thala Film ) ৷
বড় পর্দার 'শ্বেত পাথরের থালা'র প্রসঙ্গ টেনে তিনি এদিন বলেন, "ছবিটি আমার বিশেষ পছন্দ হয়নি । কারণ শেষের দিকে একটু গোলমাল করে ফেলেছিল ওরা । আরও অনেককিছু দেখানো হয়নি গুছিয়ে । তবে ছবিটার জয় এক জায়গায় । শুনেছিলাম ছবিটা দেখার পর একজন ভাসুর তার বিধবা চাকরিরতা ভ্রাতৃবধূরর উপর চাপানো বৈধব্যের সবরকম কঠিন নিয়ম তুলে নিয়েছিলেন (Bani Basu on Shwet Patharer Thala Film)।"
আরও পড়ুন: অভিনয় থেকে নাচ গোবিন্দা মানেই ছবি হিট, জন্মদিনে ফিরে দেখা 'হাসির রাজার' কেরিয়ার
বাণী বসু নিজের সৃষ্টি প্রসঙ্গে আরও বলেন, "একবার এটা নিয়ে কাজ হয়ে গিয়েছে বড় পর্দায়। তারপর আবার ছোট পর্দায় হবে। প্রথমে আমি ঠিক খুশি হইনি খবরটা শুনে। তবে যে বিষয় নিয়ে আমার এই উপন্যাস সেই ঘটনা আজও নানা জায়গায় ঘটে চলেছে (Bani Basu on Shwet Patharer Thala)। সেদিক থেকে দেখলে গল্পটা এখনও প্রাসঙ্গিক। তাই চ্যানেল বেছে নিয়েছে। দেখা যাক কী হয়। দেখার ইচ্ছা রইল। রোজ হয়তো দেখা হবে না। তবে দেখার চেষ্টা করব। সাহিত্যের সেরা সময় খুব ভাল একটা প্ল্যাটফর্ম। তাই আমি আশাবাদী।"