জলপাইগুড়ি, ১৮ এপ্রিল : "কেন্দ্রীয় বাহিনী মুকুল রায় ও বিজয়বর্গীয়র কথায় চলছে। এর থেকে লজ্জার কী আছে? বিজয়বর্গী কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে চালাচ্ছে।" আজ ভোট দিয়ে একথা বললেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বুথে দলীয় প্রতীক পরে ঢোকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ ভোট দিয়ে বললেন, "জেতার বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ আশাবাদী।"
সৌরভ দলীয় প্রতীক পরে বুথে ঢোকার বিষয়ে বলেন, "আমরা জলপাইগুড়ি জেলার দায়িত্বে আছি। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ যাতে হয় সেই দায়িত্ব পালন করছি। তৃণমূল কংগ্রেস করি। তৃণমূল কংগ্রেস করতে গর্ববোধ করি। তাই সারা বছর তৃণমূলের প্রতীক পরে থাকি। আমি বুথের ভিতরে ভোট দিতে যাইনি। সুতরাং প্রতীক না পরার কোনও কারণ নেই। এরকম কোনও নির্বাচন বিধি নেই।"
তিনি আরও বলেন, "ভোট খুব শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়েছে। কিছু জায়গায় EVM খারাপের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন। আমরা এর আগেও বলেছিলাম সব বাহিনীর আগে মানব বাহিনী। মানব বাহিনী সকাল থেকে রাস্তায় নেমে গেছে। জলপাইগুড়ির সংস্কৃতি অনুযায়ী ভোট ভালোভাবেই হচ্ছে। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন আরও নিরপেক্ষ থাকুক। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহু জায়গায় টাকা পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল চূড়াভান্ডারে বেশ কয়েকজন সমাজবিরোধী জমায়েত হয়েছিল। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা ১০০ শতাংশের মধ্যে ২০০ শতাংশ জিতে আছি। 42 এ 42 এর মধ্যে আমাদের কেন্দ্র যাতে রেকর্ড করে সেই চেষ্টায় আছি। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আগ্রহী। কিন্তু মানুষের ভোট দেওয়া নিয়ে আগ্রহী নয়। মানাবাড়ি থেকে পাথরঝোড়া পর্যন্ত ৮টি বুথে এখনও ভোট শুরু হয়নি। সব EVM খারাপ। বোয়ালমাড়িতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়নি। যত বাহিনীই আসুক মানব বাহিনী সবথেকে বড় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের নেতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরেছে। এটা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী মুকুল রায় ও বিজয়বর্গীয়র কথায় চলছে। এর থেকে লজ্জার কী আছে? বিজয়বর্গী কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনকে চালাচ্ছে। আমরা জনগণকে বলেছি, বর্গী এল দেশে, বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কীসে ? ভোট দাও আর বর্গী তাড়াও।"
জলপাইগুড়ি লোকসভা প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ বলেন, "ভোট খুব সুন্দরভাবে হচ্ছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। এখানে কোনও অসুবিধা নেই। আমরা ভালোভাবেই ভোট দিলাম। জেতার বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ আশাবাদী। জলপাইগুড়ির মানুষ উন্নয়ন দেখেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর করছে। তারা এই কাজ করতে পারেন না। এখনও পর্যন্ত অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে।"