ETV Bharat / elections

প্রধানমন্ত্রীর থেকে মুখ্যমন্ত্রীরা বেশি পাওয়ারফুল : মমতা

আজ  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারীর সমর্থনে এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীরা বেশি পাওয়ারফুল, প্রধানমন্ত্রীর থেকে ।"

মমতা
author img

By

Published : Apr 28, 2019, 8:27 PM IST

Updated : Apr 28, 2019, 8:33 PM IST

কাঁথি, 28 এপ্রিল : "মুখ্যমন্ত্রীরা বেশি পাওয়ারফুল, প্রধানমন্ত্রীর থেকে ।" আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শিশির অধিকারীর সমর্থনে এক জনসভায় একথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ বেশি । প্রধানমন্ত্রীর কাজ তো অর্থনীতি দেখা আর বিদেশ নীতির নামে বিদেশ ঘুরে বেড়ানো ।"

তিনি আরও বলেন, "নরেন্দ্র মোদিকে যদি একটিও ভোট দেন, তাহলে ভারতবর্ষে আর কথা বলার সুযোগ থাকবে না। দেশের গণতন্ত্র বাতিল করে দিতে পারেন উনি । ওনার বিরুদ্ধে কাউকে কিছু বলতে দেওয়া হয় না । ফ্যাসিস্ট রাজ কায়েম করতে চাইছে মোদি । দিল্লিতে ওর বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা নেই কোনও চ্যানেল ও কাগজের ।" এরপর মমতা সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, "কেন আপনারা ওনার ছবি তোলেন না ? আমাদের ছবি তো তোলেন । তাহলে কেন ওদের ছবি তোলেন না । আসলে ছবি তুলতে দেয় না । কারণ বাক্স নিয়ে যেতে অসুবিধা হবে বলে ।"

মমতা বলেন, "বেনারসে এক কোটি টাকা খরচ করে মিছিল করল । অনেকে কমপ্লেন করেছে, আমরাও করব । আবার নিজেকে চৌকিদার বলে । চৌকিদারের কাজ পাহারা দেওয়া । বলে কি না বাংলা দখল করবে । সে হবে না । ওরা বাংলাকে দেখে না । খরা, বন্যা হলে আসে না । তিন বছরে তাজপুর বন্দর করতে দিল না । টাকাপয়সা দেয় না । বাংলা বড় বড় লাড্ডু দেবে । লাড্ডুর ভেতরে কাজু কিসমিস নয়, কাঁকর ভরা থাকবে ।"

শুনুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

মমতা BJP-কে হারানোর ডাক দিয়ে বলেন, "12 মে BJP-কে বাংলা থেকে হটিয়ে দিন । BJP-কে কবর দিন । ওদের হারিয়ে দিন । দিল্লির সরকার উলটে দিন ।"

পাশাপাশি CPI(M)-কে আক্রমণ করেন মমতা বলেন, "আমরা কংগ্রেস ছেড়েছিলাম কারণ CPI(M)-এর কাছে কংগ্রেস তার পতাকাটা বিক্রি করে দিয়েছিল। আর এখন CPI(M) BJP-র কাছে তাদের পতাকাটা বিক্রি করে দিয়েছে । এর থেকে লজ্জার কিছু আছে কি ? যারা নন্দীগ্রামে অত্যাচার করল তারা এখন গেরুয়া জামা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে । 14 মার্চ 14 জনকে গুলি করে মেরেছিল । তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি সতর্ক না করলে সেদিন আমাকেও মেরে ফেলত ।"

কাঁথি, 28 এপ্রিল : "মুখ্যমন্ত্রীরা বেশি পাওয়ারফুল, প্রধানমন্ত্রীর থেকে ।" আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শিশির অধিকারীর সমর্থনে এক জনসভায় একথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ বেশি । প্রধানমন্ত্রীর কাজ তো অর্থনীতি দেখা আর বিদেশ নীতির নামে বিদেশ ঘুরে বেড়ানো ।"

তিনি আরও বলেন, "নরেন্দ্র মোদিকে যদি একটিও ভোট দেন, তাহলে ভারতবর্ষে আর কথা বলার সুযোগ থাকবে না। দেশের গণতন্ত্র বাতিল করে দিতে পারেন উনি । ওনার বিরুদ্ধে কাউকে কিছু বলতে দেওয়া হয় না । ফ্যাসিস্ট রাজ কায়েম করতে চাইছে মোদি । দিল্লিতে ওর বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা নেই কোনও চ্যানেল ও কাগজের ।" এরপর মমতা সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, "কেন আপনারা ওনার ছবি তোলেন না ? আমাদের ছবি তো তোলেন । তাহলে কেন ওদের ছবি তোলেন না । আসলে ছবি তুলতে দেয় না । কারণ বাক্স নিয়ে যেতে অসুবিধা হবে বলে ।"

মমতা বলেন, "বেনারসে এক কোটি টাকা খরচ করে মিছিল করল । অনেকে কমপ্লেন করেছে, আমরাও করব । আবার নিজেকে চৌকিদার বলে । চৌকিদারের কাজ পাহারা দেওয়া । বলে কি না বাংলা দখল করবে । সে হবে না । ওরা বাংলাকে দেখে না । খরা, বন্যা হলে আসে না । তিন বছরে তাজপুর বন্দর করতে দিল না । টাকাপয়সা দেয় না । বাংলা বড় বড় লাড্ডু দেবে । লাড্ডুর ভেতরে কাজু কিসমিস নয়, কাঁকর ভরা থাকবে ।"

শুনুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য

মমতা BJP-কে হারানোর ডাক দিয়ে বলেন, "12 মে BJP-কে বাংলা থেকে হটিয়ে দিন । BJP-কে কবর দিন । ওদের হারিয়ে দিন । দিল্লির সরকার উলটে দিন ।"

পাশাপাশি CPI(M)-কে আক্রমণ করেন মমতা বলেন, "আমরা কংগ্রেস ছেড়েছিলাম কারণ CPI(M)-এর কাছে কংগ্রেস তার পতাকাটা বিক্রি করে দিয়েছিল। আর এখন CPI(M) BJP-র কাছে তাদের পতাকাটা বিক্রি করে দিয়েছে । এর থেকে লজ্জার কিছু আছে কি ? যারা নন্দীগ্রামে অত্যাচার করল তারা এখন গেরুয়া জামা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে । 14 মার্চ 14 জনকে গুলি করে মেরেছিল । তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধি সতর্ক না করলে সেদিন আমাকেও মেরে ফেলত ।"

মুখ্যমন্ত্রীরা বেশি পাওয়ার ফুল, প্রধানমন্ত্রী থেকে ! মমতা ব্যানার্জি ।
আজ  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শিশির অধিকারির সমর্থনে এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন  
 নরেন্দ্র মোদীকে যদি একটিও ভোট দেন , তাহলে ভারতবর্ষে আর কথা বলার সুযোগ থাকবেনা  ।
 দেশের গণতন্ত্র বাতিল করে দিতে পারে। ওনার বিরুদ্ধে কাউকে কিছু বলতে দেওয়া হয় না । ফ্যাসিস্ট রাজ কায়েম করতে চাইছে মোদী । 
দিল্লীতে ওর বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা নেই কোন চ্যানেল ও কাগজের । 
সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন ! কেন আপনারা ওনার ছবি তোলেন না ? আমাদের ছবি তো তোলেন ! তাহলে কেন ওদের ছবি তোলেন না! আসলে ছবি তুলতে দেয়না । কারন বাক্স নিয়ে যেতে অসুবিধা হবে বলে । 
 প্রধান মন্ত্রীর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাজ বেশি !
শুধূ নিরাপত্তা দেখায় , অর্থ দেখা আর বিদেশ নীতির নামে বিদেশ ঘুরে বেড়ানো । 
আর বেশি রাগ আমার ওপর ! কারণ আমি  অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করি । আসলে আমি কাউকে ভয় পাইনা । কি করবে আমাকে খুন করবে, মারবে, আমি কাউকে ভয় পাইনা । বেড়ালের গলায় কাউকে তো ঘন্টা বাঁধতে হবে । তাই আমি সেই ঘন্টা বাঁধার কাজ করেছি । 
হরিদাস পালের দল  ধর্ম শেখাতে এসছে । 
আন্যায় করে চলেছে অথচ ওর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কমিশন  । বেনারসে ৭০লক্ষ টাকা খরচ করে মিছিল করল । অনেকে কমপ্লেন করেছে আমরাও করব । 
আবার নিজেকে চৌকিদার বলে । চৌকিদারের কাজ পাহারা দেওয়া । বাংলা দখল করবে । সে হবেনা । বাংলা বড় বড় লাড্ডু দেবে । লাড্ডুর ভেতরে কাজু কিশমিশ নয় কাঁকর ভরা থাকবে ।ওরা বাংলাকে দেখে না । খরা, বন্যা হলে আসেনা । তিন  বছরে তাজপুর বন্দর করতে দিলনা । টাকা পয়সা দেয় না । বলে  আমাকে বাংলা দাও  ! কেন বাংলা দেব । 
 তিনটি ফেজে ইলেকশান হয়ে গিয়েছে । খাতা খুলতে পারেনি । মিটিং এ লোক হয়না ঝাড়খন্ড  থেকে লোক আনতে হয় । নিজেেদের ক্ষমতা নেই বাইর থেকে লোক এনে মস্তানি করে । বলছে তাদের লোক খুন হচ্ছে । কাঁথিতে মিটিং করল আমাদের একজন খুন হলো, মালদাতে খুন হয়েছে আমাদের লোক । আমরা কারো গায়ে হাত দেয়নি । কারণ আমরা বদলা নয় বদল চেয়েছি । মনে রেখো লেবু কচলাতে কচলাতে তেতোহয় । বলছি লেবূ কচলিও না । 
বেশি বাড় বেড়োনা ঝড়ে পড়েযাবে । 
 দিল্লীতে বিজেপির চেয়ার টলমল হচ্ছে । এইদিন সভাতে আরো বলেন 
পূর্ব ,পশ্চিম মেদিনীপুর  ঝাড়গ্রাম আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মদাত্রী । আমরা কংগ্রেস ছেড়ে ছিলাম ! কারণ সি পি এমের কাছে কংগ্রেসের পতাকাটা বিক্রী করে দিয়েছিল  । আর এখন সিপিএম বিজেপির কাছে তার পতাকাটা বিক্রি করে দিয়েছে । এর থেকে লজ্জ্বার কিছু আছে । যারা নন্দীগ্রামে অত্যাচার করলো তারা এখন জামা পাল্টে গেরুয়া জমা পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আমি এখন সেসব দিন ভুলিনি । ১৪মার্চে ১৪জনকে গুলি করে মেরেছিল । অনেককে মেরে টানতে টানতে হলদিনদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল । অনেকেই আজ ও বাড়ি ফিরে আসেনি । আমাকে মারার পরিকল্পনা ছিল হার্মাদের  । তৎকালীন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী সতর্ক না করলে সেদিন আমাকে মেরে ফেলতো । 
সুজতা দাসকে খুন করে সিপিএম তার বাবা দাদার ওপর দোষ চাপিয়েছিল । 
 ১২ মে বিজেপিকে বাংলা থেকে হটিয়ে দিন । বিজেপিকে কবর দিন । ওদের হারিয়ে দিন দিল্লীর
 সরকার উল্টে দিন পাল্টে দিন । এই বলে সভা শেষ করে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী । এইদিন সভাতে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারি, বিধায়কগন ও মন্ত্রীরা ।
Last Updated : Apr 28, 2019, 8:33 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.