শিলিগুড়ি, 31 মে: শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচনের ফলাফল মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে ঘাসফুল শিবিরে । তথাকথিত বামদুর্গ হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ (SMP elections) এ বার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস দখল করবে । মঙ্গলবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মহকুমা আসনের মনোনয়ন পত্র পেশ প্রক্রিয়ায় এমনই দাবি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের ।
এ দিন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের মহকুমার নয়টি আসনে মনোনয়ন জমা দেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা (TMC candidates file nomination)। মাল্লাগুড়ি থেকে মিছিল করে এ দিন মহকুমাশাসকের দফতরে যান প্রার্থীরা । মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তী, সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী-সহ তৃণমূল কাউন্সিলার, দলীয় কর্মী ও সমর্থকরা ।
শেষ মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে মহকুমার নয়টি আসনের ছয়টিতে বামেরা ও তিনটিতে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছিল । পাঁচটির মধ্যে চারটিতে সিপিএম ও একটিতে ফরওয়ার্ড ব্লক জয়লাভ করে । কিন্তু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ও তারপর শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচনে বামেদের গড় গুঁড়িয়ে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে শাসক দল । সেই কারণে এ বারের মহকুমা পরিষদ নির্বাচনেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
এটাই শাসক শিবিরে অনেকটাই বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে । যদিও বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি মহকুমার একটি আসনও পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস । মাটিগাড়া নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্র দখল করে গেরুয়া শিবির ৷
অন্যদিকে, শেষ বামদুর্গ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নিজেদের দখলে রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ বামেদের কাছেও । গ্রামে বামেদের একটা বড় অংশের ভোট ব্যাংক রয়েছে । তবে গত নির্বাচনের ফলাফল হিসেব করলে কিছুটা বাড়তি সুবিধা রয়েছে গেরুয়া ও ঘাসফুল শিবিরের । যা বাম-কংগ্রেসের নেই ।
গৌতম দেব বলেন, "পৌরনিগম নির্বাচনের ফলাফল অবশ্যই প্রভাব ফেলবে । গ্রামীণ এলাকায় রাজ্য সরকার বিপুল পরিমাণে উন্নয়ন করেছে । ফলে মানুষ ঠিক করে নিয়েছে । এ বার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদও তৃণমূল কংগ্রেস দখল করছে । বিজেপি বা বামফ্রন্ট - কংগ্রেস কেউই আমাদের প্রতিপক্ষ নয় ।"
দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেছেন, "আমাদের কোনও প্রতিপক্ষ নেই । উলটে আমরা প্রার্থী-সহ দলীয় নেতৃত্ব, কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কে কত বেশি ভোটে জিতবে সেই লড়াইয়ের জন্য বলেছি । বিজেপি, বাম বা কংগ্রেস কেউই এ বার লড়াইয়ে নেই ৷"