শিলিগুড়ি, 8 অগস্ট: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। জেল হেফাজতে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর এরই মধ্যে জিটিএ'র অধীন প্রাথমিক, আপার প্রাইমারি ও উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে অনিত থাপার বিরুদ্ধে (Teacher Recruitment Controversy Against Anit Thapa)।
অভিযোগ, জিটিএ'র প্রশাসনিক বোর্ডে থাকাকালীন অনৈতিকভাবে প্রায় 500 জন শিক্ষক নিয়োগ করেছেন বর্তমান জিটিএ'র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা ও বিনয় তামাং। দলীয় কর্মী সমর্থক ও পরিবারের সদস্যদের থেকে মাথা পিছু 10-15 লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে। সম্প্রতি এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ গোর্খা আনপ্লয়েড প্রাইমারি ট্রেইনড টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
জানা গিয়েছে, বর্তমান জিটিএ বোর্ডের সহকারী মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সঞ্চবীর সুব্বাকেও চাকরি পাইয়ে দেন অনিত থাপা । এছাড়া ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সম্পাদক কেশবরাজ পোখরেলের পরিবারের 17 জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের সময় আবেদনকারীদের কোনও লিখিত পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে হাজিরা সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের
উল্লখ্যে, 2019 সালের জানুয়ারি মাসে জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়। দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই মার্চ মাসে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় । পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলা জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয় । এরই মাঝে রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতে ফের সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা।