শিলিগুড়ি, 24 সেপ্টেম্বর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই তৎপর শ্রম ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ৷ চা বাগানের শ্রমিক এবং তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে (Labour Welfare) উদ্যোগ ‘টি অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলের’ ৷ শনিবার শিলিগুড়ির বিবেকানন্দ ভবনে ‘টি অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলে’র দ্বিতীয় বৈঠক হয় (Tea Advisory Council Meeting) ৷
এ দিনের বৈঠকের আগে চা বাগানের পানীয় জলের সমস্যার সমাধানে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউজে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়, আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম, আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন ৷ অন্যদিকে, চা বাগান শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতেই, বোনাস নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যে তুমুল বিরোধিতা শুরু হয়েছে ৷
এ দিন মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তিন মাসের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু টি ডিরেক্টরেট ও রাজ্য সরকার 12 দিনের মধ্যে চা শ্রমিকদের আই কার্ড দিয়ে দিয়েছে। পুজোর পরে চা-বাগান শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ক্রেচ, হেলথ সেন্টার বা হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স ও পানীয় জলের কাজ শুরু হবে ৷ দু’মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে ৷’’
জিটিএ’র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা বলেন, ‘‘মডেল চা বাগানে হেলথ সেন্টার তৈরি হবে ৷ পাহাড়ের চা বাগানে 13টি ক্রেচ তৈরি হবে ৷’’ অন্যদিকে, একবারে চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাস দেওয়ার দাবিতে গ্লেনারিজের মালিক অজয় এডওয়ার্ড দার্জিলিং চায়ে বিক্রি বন্ধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৷ সেই বিষয়ে অনিত থাপা বলেন, ‘‘আমাদেরও 20 শতাংশ বোনাসের দাবি রয়েছে ৷ আমরা সেই দাবিতে অনড় রয়েছি ৷ বেশ কয়েকটি চা বাগান দিচ্ছে এবং বেশ কয়েকটি চা বাগানের মালিকপক্ষ দিতে রাজি হয়েছে ৷ আর অজয় এডওয়ার্ড ব্যবসা করেন ৷ তিনি চা বিক্রি করুক, আর না করুক সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না ৷’’
টি ডিরেক্টরেট সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়িতে 14টি, আলিপুরদুয়ারে 13টি, দার্জিলিংয়ে 20টি, উত্তর দিনাজপুরে ও কোচবিহারে একটি করে ক্রেচ তৈরি হবে ৷ পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর কার্শিয়াংয়ে দু’টি, দার্জিলিংয়ের 6 টি, কালিম্পংয়ে একটি, জলপাইগুড়ি জেলায় পাঁচটি ও আলিপুরদুয়ারের 6 টি বাগানে পানীয় জলের প্রকল্প তৈরি করবে ৷ 2023 সালের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷ পাশাপাশি, তৈরি করা ক্রেচগুলি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে টি ডিরেক্টরেট ৷ শ্রম দফতরের তরফে হেলথ সেন্টার ও ক্রেচের ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে ৷