ETV Bharat / city

কোয়ারানটাইন ? ''সামর্থ্য নেই'', বলছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরা - corona news

আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার কারণে সরকারি নিয়ম মেনে কোয়ারানটাইনে থাকার সামর্থ নেই বলছেন ভিন রাজ্য থেকে আশা শ্রমিকরা ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Mar 27, 2020, 2:35 PM IST

শিলিগুড়ি, 27 মার্চ : আর্থিক অবস্থা সচ্ছল নয় ওদের । নুন আনতে পান্তা ফুরোয় । ওদের কেউ কাজ করতেন মহারাষ্ট্রে সোনার দোকানে । কেউ বা ছিলেন কেরালার কফি বাগানের শ্রমিক । লকডাউনের জন্য রাজ্যে ফিরেছেন । আপাতত গৃহবন্দী । কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সত্যিই কি জনবিচ্ছিন্ন এরা ? শ্রমিকেরা জানাচ্ছেন, বাস্তবে তা সম্ভব নয় ।

শ্রমিকদের দাবি, শিলিগুড়িতে ঘর বলতে একটি কামরা । সেখানে থাকেন পরিবারের অন্য সদস্যরা । একসঙ্গে সেখানেই রয়েছি । আলাদা ঘর, আলাদা শৌচাগার কোথায় পাব? সরকার বলেই খালাস । কিন্তু, আমাদের পেট চালানোই দায় । এই পরিস্থিতিতে যেটুকু পারছি করছি । এর বেশী কিছু করার সামর্থ নেই আমাদের । আর বাকিটা ভাগ্য ।

আর এখানেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা । চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য জানান, "আসলে মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে যা করা সম্ভব তা অনেক ক্ষেত্রেই নিম্নবর্গের মানুষের পক্ষে সম্ভব না । আমরা বুঝতে পারছি । শ্রমিকেরা আপাতত সুস্থ হলেও WHO-র নির্দেশিকা মেনেই ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের 14 দিন জনবিচ্ছিন্ন থাকতে বলছি আমরা । কিন্তু আলাদা ঘরই নেই । তাই পরিবারের সঙ্গেই ওরা থাকছেন । ঘরে বৃদ্ধ বাবা মা আছেন। তাঁদের সঙ্গে মিশছেন । একসঙ্গেই চলছে খাওয়া দাওয়া, শৌচাগার ব্যবহার । ফলে এই পরিস্থিতিতে আমাদের নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে । পরিবারের অন্যরাও যেন বাড়িতেই থাকেন সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে। নাহলে বিপদ আসতেই পারে।"

শিলিগুড়িতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, "স্বাস্থ্যবিধিতে যা বলা হয়েছে আমরা সেটাই প্রত্যককে বলছি । কিন্তু আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট সত্যিই আলাদা একটা দিক। এই পরিস্থিতিগুলি সমস্যারও বটে। তবে আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত আছি । নজরদারি রয়েছে । আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই ।"

শিলিগুড়ি, 27 মার্চ : আর্থিক অবস্থা সচ্ছল নয় ওদের । নুন আনতে পান্তা ফুরোয় । ওদের কেউ কাজ করতেন মহারাষ্ট্রে সোনার দোকানে । কেউ বা ছিলেন কেরালার কফি বাগানের শ্রমিক । লকডাউনের জন্য রাজ্যে ফিরেছেন । আপাতত গৃহবন্দী । কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সত্যিই কি জনবিচ্ছিন্ন এরা ? শ্রমিকেরা জানাচ্ছেন, বাস্তবে তা সম্ভব নয় ।

শ্রমিকদের দাবি, শিলিগুড়িতে ঘর বলতে একটি কামরা । সেখানে থাকেন পরিবারের অন্য সদস্যরা । একসঙ্গে সেখানেই রয়েছি । আলাদা ঘর, আলাদা শৌচাগার কোথায় পাব? সরকার বলেই খালাস । কিন্তু, আমাদের পেট চালানোই দায় । এই পরিস্থিতিতে যেটুকু পারছি করছি । এর বেশী কিছু করার সামর্থ নেই আমাদের । আর বাকিটা ভাগ্য ।

আর এখানেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা । চিকিৎসক জয়ন্ত ভট্টাচার্য জানান, "আসলে মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে যা করা সম্ভব তা অনেক ক্ষেত্রেই নিম্নবর্গের মানুষের পক্ষে সম্ভব না । আমরা বুঝতে পারছি । শ্রমিকেরা আপাতত সুস্থ হলেও WHO-র নির্দেশিকা মেনেই ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের 14 দিন জনবিচ্ছিন্ন থাকতে বলছি আমরা । কিন্তু আলাদা ঘরই নেই । তাই পরিবারের সঙ্গেই ওরা থাকছেন । ঘরে বৃদ্ধ বাবা মা আছেন। তাঁদের সঙ্গে মিশছেন । একসঙ্গেই চলছে খাওয়া দাওয়া, শৌচাগার ব্যবহার । ফলে এই পরিস্থিতিতে আমাদের নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে । পরিবারের অন্যরাও যেন বাড়িতেই থাকেন সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে। নাহলে বিপদ আসতেই পারে।"

শিলিগুড়িতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, "স্বাস্থ্যবিধিতে যা বলা হয়েছে আমরা সেটাই প্রত্যককে বলছি । কিন্তু আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট সত্যিই আলাদা একটা দিক। এই পরিস্থিতিগুলি সমস্যারও বটে। তবে আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত আছি । নজরদারি রয়েছে । আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.