শিলিগুড়ি, 21 এপ্রিল : কোরোনার জেরে দেশের তথা রাজ্যে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ COVID-19 এর মোকাবিলায় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ৷ তাঁদের মতো পুলিশও কোরোনা যুদ্ধে লড়াই করছে 24 ঘণ্টা ৷ দেশের এমার্জেন্সি নম্বর 100 ৷ 24 ঘণ্টার এই পরিষেবায় নিযুক্ত পুলিশও নাওয়া-খাওয়া ভুলে পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে চলেছেন ৷ শিলিগুড়ির মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমের চিত্রও এক ৷ একজন ইনস্পেক্টর, ওসি ও ASI-সহ মোট 10জন পুলিশকর্মী প্রতি শিফটে যুদ্ধের মেজাজে সেখানে কাজ করছেন ৷ সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনে সমাধানের চেষ্টা করছেন ৷
ফোনের ট্রিং ট্রিং শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড় ৷ লকডাউনের বাজারে এই শব্দ যেন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ৷ শিলিগুড়ির মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম ৷ সেখান থেকে এমার্জেন্সি নম্বর 100-র নিয়ন্ত্রণ করা হয় ৷ একে 24 ঘণ্টার পরিষেবা ৷ তার উপর কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউন চলছে দেশজুড়ে ৷ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল রুম সামলাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা ৷ প্রতি শিফটে মোট 10জন সামলাচ্ছেন 100-র কন্ট্রোল রুম ৷ সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনছেন এবং জরুরি ভিত্তিতে সেইসব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছেন ৷
রাজ্যের কয়েকটি জায়গা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৷ তার মধ্যে দার্জিলিং জেলাকে ক্লাস্টার অর্থাৎ অরেঞ্জ জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ রাজ্য প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই হটস্পট ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে লকডাউনের নিয়ম কঠোর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে পরমার্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু লকডাউন অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে বহু জায়গায় ৷ কোথাও কোনও ভিড় বা জমায়েত দেখলে 100-তে ফোন করে অনেকেই অভিযোগ করছেন ৷ আবার চিকিৎসা বা অন্যান্য জরুরি পরিষেবা পেতে সমস্যা হলেও 100 নম্বরে ফোন করে সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ৷
শিলিগুড়ি কন্ট্রোল রুমের ইন্সপেক্টর বিধান চক্রবর্তী জানান, ‘‘কেউ যদি খাবারের প্রয়োজনে ফোন করেন, তাহলে একটি টোল ফ্রি নম্বর রয়েছে ৷ সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং টোল ফ্রি নম্বর থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফোন করে তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ৷ কোনও ভিড় সংক্রান্ত খবর এলে আমরা কমিশনারেটের মোবাইল ভ্যানে জানিয়ে দিচ্ছি ৷ পাশাপাশি যেখান থেকে খবর আসছে সেখানকার থানায়ও জানিয়ে দিচ্ছি ৷’’ একেকটি 100-র ডায়ালে 300-র ওপর ফোন আসছে প্রতিদিন ৷
শহরের বিভিন্ন জায়গায় 105টি CCTV রয়েছে ৷ কন্ট্রোল রুম থেকে সেসবেও নজরদারি চালান পুলিশকর্মীরা ৷ ট্রাফিক ও কমিশনারেটের সঙ্গে রেডিও বার্তার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম থেকে ৷ পুলিশ কমিশনার মাঝেমধ্যে কন্ট্রোল রুম পরিদর্শনে আসছেন ৷ তাঁর নির্দেশ মতো কাজ করে চলেছেন পুলিশকর্মীরা ৷ সাধ্যমতো সাধারণের সেবা করছেন ৷