শিলিগুড়ি, 16 মার্চ :কোনওমতেই কোরোনা আক্রন্ত রোগীদের হাতিঘিষার আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে দেওয়া হবে না। এতে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এমনই দাবি তুলে আজ দিনভর বিক্ষোভে শামিল হলেন হাতিঘিষা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভ এতটাই চরমে পৌঁছায় যে ঘটনাস্থানে পৌঁছাতে হয় পুলিশ আধিকারিকদের ৷ পৌঁছান উপমুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক (2) সুজয় বিষ্ণু৷ তিনি গ্রামবাসীদের বোঝাতে একাধিক উদ্যোগ নেন। যদিও গ্রামবাসীরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় ৷ তাঁদের দাবি, গ্রামীণ এলাকায় কোনমতেই কোরোনা আক্রান্তদের আনা যাবে না চিকিৎসার জন্য ৷
প্রসঙ্গত, নোভেল কোরোনার মোকাবিলায় দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে উত্তরবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা ভবনের একটা অংশে 100 শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু করেছে। মূলত অনূকূলে রাখতেই আগাম ব্যবস্থা বলেই জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় এবং উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের কর্তারা ওই ভবনটি ঘুরে দেখেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে মেডিকেল কলেজ থেকে পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ওই ভবনে পাঠিয়ে সেখানে রোগীদের চিকিৎসা করা হবে। যদিও গ্রামবাসীদের বক্তব্য সেখানে কোনভাবেই কোরোনার চিকিৎসা করতে হবে দেওয়া হবে না।
স্থানীয় বাসিন্দা তুফান মল্লিক বলেন, গ্রামবাসীরা নিরক্ষর। কোরোনা আতঙ্কে এমনিতেই তারা ভীত। এছাড়াও স্কুল, কলেজ, হস্টেল আছে এখানে। রয়েছে চা বাগান এলাকায়। বহু শ্রমিক কাজ করেন সেখানে। সেক্ষেত্রে আমাদের দাবি, এখানেই আইসোলেশন ওয়ার্ড করা যাবে না। কোন চিকিৎসা হবে না এখানে। আমরা কোরোনা আক্রান্তদের এখানে আসতে দেব না। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার ক্ষেত্রে মেডিকেল কলেজ চত্বর কাজে লাগানো হোক। আমাদের কোন আপত্তি নেই তাতে। তবে এখানে নয়। প্রয়োজনে গোটা গ্রামের লোক বিক্ষোভে শামিল হব। পথ অবরোধেও সামিল হবো প্রয়োজনে। এবিষয়ে উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক(২) সূজয় বিষ্ণু বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করা হয়েছে। যেখানে ঘন জনবসতি নেই, নির্দিষ্ট সীমানা রয়েছে। খোলা জায়গা। সেখানেই এমন ওয়ার্ড বানানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে সবদিক ভেবে এখানেই আইসোলেশন ওয়ার্ড বানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মোতাবেক কাজ চলছে।