কলকাতা, 6 নভেম্বর: রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের মুখ্যউপদেষ্টা হলেন বাম আমলের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার। মঙ্গলবার তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মুখ্যউপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয় ৷ নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করবেন তিনি। বাম আমলে মাদ্রাসা এবং সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো এই আব্দুস সাত্তার সোমেন মিত্রের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এবার তাঁকেই সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা দফতরের মুখ্যউপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন তিনি ৷
আব্দুস সাত্তারকে এই পদ দেওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশে কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, "অনেকদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে উনি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন বোধ হয় ৷ তাই ন্যায় নীতিহীন সুবিধাবাদী এই আত্মসমর্পণ ৷ কংগ্রেস করতে অনেক শক্ত মেরুদণ্ড আর ত্যাগ তিতিক্ষা লাগে। যেটা আমাদের হাজার হাজার কর্মী অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে প্রমাণ করেছেন আমাদের দলে এসবের কোনও প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবারই কংগ্রেস দফতরে উনি ইস্তফা পাঠিয়ে দিয়েছেন ৷"
মঙ্গলবার নবান্নের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা বিষয়ক দফতরের মুখ্যউপদেষ্টা হলেও তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান মর্যাদা এবং সুযোগ সুবিধা পাবেন। সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন এমন পদক্ষেপ নিতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ?
এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসার পরই সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এই ঘটনাকে 'ফিস ফ্রাই পলিটিক্স' বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, "2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে 12টি আসনে জিততে সাহায্য করার জন্য এবং আরজি কর ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ইন্ডি জোটকে পুরস্কৃত করলেন। বাম সরকারের প্রাক্তন সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুস সাত্তার হলেন তাঁর নতুন মুখ্য উপদেষ্টা।" এরপর রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, "টিএমসি-তৃণমূল মার্ক্সিষ্ট কম্ব।"