শিলিগুড়ি, 6 ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের একমাত্র স্থলবন্দরে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার আইএনটিটিইউসি-র একাধিক নেতা ও কর্মী ৷ বৃহস্পতিবার ফুলবাড়ির ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে পুলিশ৷ তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, অন্যতম অভিযুক্ত এনজেপি-র আইএনটিটিইউসি সভাপতি প্রসেনজিৎ রায়ের সন্ধান এখনও মেলেনি ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থলবন্দরে ভাঙচুরের ঘটনায় মালিকপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই একাধিক এলাকায় তল্লাশি চলছে ৷ শুক্রবার মাঝরাতে মালবাজারের বেশ কয়েকটি রিসর্টে অভিযান চালায় এনজেপি থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। ধৃতরা হলেন সুজিত ঘোষ, সজল সিনহা, সঞ্জয় দেবনাথ এবং বিমল মণ্ডল। এঁরা প্রত্যেকেই আইএনটিটিইউসি-র সক্রিয় কর্মী ও পদাধিকারী৷
পাশাপাশি, এনজেপি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সুশান্ত দাস, হীরা বিশুশর্মা ও রামনগর মাহাত নামে আরও তিনজন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট 13 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মালবাজার থেকে ধৃতদের শনিবার সকালেই ভক্তিনগর থানায় নিয়ে আসা হয়। পেশ করা হয় জলপাইগুড়ি আদালতে ৷
প্রসঙ্গত, খোদ মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্য়ায় উপস্থিত থাকাকালীন গত বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ির স্থলবন্দরে ভাঙচুর চালানো হয়৷ ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে আইএনটিটিইউসি-র এনজেপি শাখার সভাপতি প্রসেনজিৎ রায় ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: দেগঙ্গায় 20 লাখ টাকা ডাকাতি, গ্রেপ্তার 7
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘটনার খবর পৌঁছাতেই তিনি পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। এরপরই শুরু হয় তৎপরতা ৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করে এনজেপি থানার পুলিশ৷
শুক্রবার রাতে খবর আসে, মালবাজারে গাঢাকা দিয়েছেন প্রসেনজিৎ৷ তাঁকে ধরতেই সেখানে যায় পুলিশের বিশেষ দল৷ সেখানে প্রসেনজিতের নাগাল না পেলেও তাঁর চার অনুগামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, প্রসেনজিৎকে ধরতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ও বাংলা-অসম সীমানাতেও কড়া পাহারা বসানো হয়েছে৷